Tuesday 10 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চিন্ময়ের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা, তদন্তের নির্দেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:২৮ | আপডেট: ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:০৫

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দাখিল করা মামলার আবেদন গ্রহণ করেছেন আদালত। নগরীর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শককে (তদন্ত) করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামের প্রথম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর ছিদ্দিকের আদালত এ আদেশ দেন। সংঘর্ষের সময় এনামুল হক নামে আহত এক ব্যবসায়ী এ মামলা করেন, যিনি হেফাজতে ইসলামের সমর্থক হিসেবে আবেদনে উল্লেখ করেছেন।

বিজ্ঞাপন

বাদীপক্ষের আইনজীবী বারাদুল ইসলাম সাইমন সারবাংলাকে বলেন, ‘গত ২৬ নভেম্বর চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনার সময় এনামুল হক মারধরের শিকার হন। এ ঘটনায় চিন্ময় কৃষ্ণকে প্রধান আসামি করে ১৬৪ জনের নামে মামলার আবেদন করেন তিনি। আদালত মামলার আবেদন গ্রহণ করে কোতোয়ালি থানার পরিদর্শককে (তদন্ত) তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।’

আইনজীবী সাইমন আরও বলেন, ‘আমরা মামলাটি এজাহার হিসেবে সরাসরি থানায় গ্রহণের নির্দেশ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলাম। কিন্তু আদালত আমাদের সে আবেদন গ্রহণ করেননি। আমরা এখন উচ্চ আদালতে যাব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

আরও পড়ুন- চিন্ময়ের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গত ২৫ নভেম্বর রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইসকনের বহিষ্কৃত সংগঠক ও সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে তাকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

এরপর কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হলে বিক্ষোভ শুরু করেন চিন্ময়ের অনুসারীরা। প্রায় তিন ঘণ্টা আটকে থাকার পর একপর্যায়ে পুলিশ-বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তখনই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে নগরীর লালদিঘীর পাড় থেকে কোতোয়ালি এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করে দুর্বত্তরা।

এ ঘটনায় সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধাদান এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ছয় মামলায় গ্রেফতার হন ৪০ জন। তাদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ১০ জন গ্রেফতার রয়েছেন।

সারাবাংলা/আইসি/এমপি

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস

বিজ্ঞাপন

যে রুটে ঢাকা-আখাউড়া লংমার্চ
১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:৪২

আরো

সম্পর্কিত খবর