৪র্থ অর্থনৈতিক শুমারি শুরু মঙ্গলবার
৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩:২২ | আপডেট: ৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:১৫
ঢাকা: দেশের চতুর্থ অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪-এর মূল তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হচ্ছে আগামীকাল মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর)। ১৫ দিনব্যাপী এ শুমারির তথ্য সংগ্রহের কাজ চলবে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে, সারা দেশে ৯৫ হাজার তথ্য সংগ্রহকারী এবারের শুমারিতে তথ্য সংগ্রহ করবেন। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে প্রতি ১০ বছর পর এমন শুমারি করছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। এরই মধ্যে প্রচারসহ সার্বিক প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে।
শুমারি শুরুর প্রাক্কালে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিাফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়।
ব্রিফিংয়ে শুমারি প্রকল্পের উপপরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, এবারই প্রথম ট্যাবের মাধ্যমে ক্যাপি পদ্ধতিতে শুমারির তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এরই মধ্যে লিস্টিংয়ের মাধ্যমে এক কোটি ২২ লাখ ইউনিট চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখান থেকে এবং এর বাইরে থেকেও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। অর্থনৈতিক শুমারিতে ৭০টি প্রশ্ন রাখা হয়েছে। দেশে কতজন বিদেশি কর্মী নিয়োজিত রয়েছেন, তারা কোন ধরনের প্রতিষ্ঠানে কোন ধরনের পদে কর্মরত আছেন এবং নারী-পুরুষ কতজন— এবারের শুমারিতে প্রথমবারের মতো সেসব তথ্য তুলে ধরা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, শুমারির কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে শেষ করার জন্য জিওগ্রাফিক্স ইনফরমেশন সিস্টেম (জিআইএস) ও জিওকোড সমন্বয় করে ডিজিটাল ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহে ব্যবহৃত ট্যাবলেটগুলো মোবাইল ডিভাইস ম্যানেজমেন্ট (এমডিএম) সফটওয়্যার ব্যবহার করে কেন্দ্রীয়ভাবে ডিভাইসগুলো নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
মাহবুব হোসেন আরও বলেন, মাঠপর্যায় থেকে সংগৃহীত তথ্য সংরক্ষণ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেডের (বিডিসিসিএল) সমৃদ্ধ ডেটা সেন্টার ব্যবহার করা হচ্ছে। মাঠপর্যায় থেকে বিডিসিসিএল হয়ে বিবিএস সার্ভারে আসার আগ পর্যন্ত সংগৃহীত সব তথ্য-উপাত্ত গোপন অবস্থায় থাকবে। এর মাধ্যমে পরিসংখ্যান আইন ২০১৩ অনুযায়ী একদিকে তথ্য সংগ্রহে শুমারি কর্মীদের সহযোগিতা করা হবে, অন্যদিকে এ আইন দ্বারা জনসাধারণের প্রত্যেকের ব্যক্তিগত তথ্যর নিরাপত্তা শতভাগ নিশ্চিত করা হবে।
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. দিপঙ্কর রায় বলেন, শুমারির তথ্য উপাত্তের গুণগতমান নিশ্চিত করে কর্মকর্তা কর্মচারীদের তিন ধাপে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রথম ধাপে মাস্টার ট্রেইনার; দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা শুমারি সমন্বয়কারী, জোনাল অফিসার ও আইটি সুপারভাইজার; এবং তৃতীয় ধাপে গণনাকারী ও সুপারভাইজারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪-এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামো ও প্রবণতা সম্পর্কে সঠিক ও হালনাগাদ তথ্য পাওয়া সম্ভব হবে, যা দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সারাবাংলা/জেজে/আরএস