Monday 09 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

১৫ বছরে রাজনৈতিক পরিচয়ে পুলিশে ৮০-৯০ হাজার নিয়োগ


৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:৪২ | আপডেট: ৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:৩৪

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী

ঢাকা: আওয়ামী সরকারের গত ১৫ বছরে রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশ বাহিনীতে ৮০ থেকে ৯০ হাজার পুলিশ সদস্যকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ এ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, গত ১৫ বছরে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের আগে নানাভাবে যাচাই বাছাই করা হয়েছে। নিয়োগ পার্থী কোন দলের, তার বাবা কোন দলের, দাদা কোন দলের এবং আরও পূর্বপুরুষ কোন দলের তা খবর নেওয়া হয়েছে। দুই লাখ পুলিশের মধ্যে ৮০ থেকে ৯০ হাজার পুলিশ সদস্য এভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন।

তিনি বলেন, এই ৮০ থেকে ৯০ হাজার পুলিশ সদস্যকে তো বলতে পারি না ‘গো হোম’ (বাসায় ফিরে যাও)। তবে যারা দুষ্টু, যারা পেশাদারিত্বের বাইরে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়েছিলেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

সাজ্জাত আলী আরও বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যখন পুলিশ ইনঅ্যাক্টিভ হয়ে পড়ে তখন ঢাকা শহরে ডাকাতি, লুটপাট শুরু হয়। তখন ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি নিয়ে পাহাড়া দিয়েছেন। তখন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ট্রমার মধ্যে পড়ে যায়। এরপর সদ্যবিদায়ী ডিএমপি কমিশনারসহ অন্যান্যরা পুলিশকে সক্রিয় করতে কাজ শুরু করেন।

কমিশনার বলেন, ঢাকা শহরের প্রধান সমস্যা ট্রাফিক। এই শহরে বিপুল সংখ্যক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। অটোরিকশা যদি বন্ধ না হয় তাহলে ঢাকা শহরের ঘর থেকে বের হলে আর হাঁটার জায়গা থাকবে না। মানুষের মুভমেন্ট বন্ধ হয়ে যাবে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে। ট্রাফিক আইন কেউ মানতে চান না। হকাররা ফুটপাত দখল করে নিয়েছেন। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ শুরু করেছি। ট্রাফিক আইনে দ্বিগুণ হারে মামলা করা হচ্ছে। ঢাকাবাসীর সহযোগিতা ছাড়া ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নত হবে না।

বিজ্ঞাপন

ইদানিং ছিনতাইয়ের ঘটনা অহরহ হচ্ছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বিভিন্নভাবে আমাকে জানানো হয়েছে ছিনতাই বেড়েছে। ছিনতাই প্রতিরোধে ডিবি ও থানা পুলিশকে সক্রিয় করা হয়েছে।

তিনি বলেন, চাঁদাবাজি হচ্ছে, কিন্তু সমাজ থেকে প্রতিরোধ করা না গেলে চাঁদাবাজি বন্ধ করা কঠিন। আপনারা কেউ চাঁদা দেবেন না। আমরা পুলিশ জনগণের পাশে থাকবো।

জুলাই-আগস্টের ঘটনায় পুলিশ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। অচিরেই ডিএমপিকে সচল করতে সক্ষম হবো।

আরেক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, ডিএমপির কোন থানা পুলিশের কেউ চাঁদাবাজিতে জড়িত থাকলে তাকেও দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনা হবে।

ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী

বিজ্ঞাপন

পলিথিন বন্ধ করা কি আসলেই সম্ভব?
৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:০৬

শীতের খুশকি সহজেই তাড়ান
৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:০০

আরো

সম্পর্কিত খবর