Wednesday 11 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিআইডিএস গবেষণা
কিডনি ডায়ালাইসিসে মাসে একজন রোগির ব্যয় ৭ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:০৪ | আপডেট: ৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:০৫

ঢাকা : কিডনি রোগে আক্রান্ত একজন রোগীর ডায়ালাইসিসে প্রতিমাসে পকেট থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে সর্বোচ্চ ২ লাখ ১০ হাজার টাকা। তবে সর্বনিম্ন ব্যয় হয় ৬ হাজার ৬৯০ টাকা। এছাড়া অসংক্রামক রোগের কারণে সব শ্রেণীর মানুষের পকেট থেকে গড়ে খরচ হয় মোট আয়ের ৮৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) এর চারদিনব্যাপী চলমান আন্তর্জাতিক সম্মেলনের তৃতীয় দিনে সোমবার ( ৯ ডিসেম্বর) আয়োজিত এক সেশনে উপস্থাপিত গবেষণা প্রবন্ধে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এ সম্মেলনে ‘আউট অব পকেট কস্ট অব কিডনি ডায়ালাইসিস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণাপত্রটি উপস্থাপন করেন বিআইডিএসের গবেষণা ফেলো ড.আব্দুর রাজ্জাক সরকার।

বিজ্ঞাপন

গবেষণায় বলা হয়েছে, মানুষের পকেট থেকে যে টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে এর মধ্যে শুধু ডায়ালাইসিস ফি দিতে মাসে খরচ হয় সর্বনিম্ন ৪৫৮ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭৮ হাজার টাকা। এ রকম প্রায় ৬ ধরনের সরাসরি মেডিকেল চিকিৎসা সংক্রান্ত খরচ হয় ৪ হাজার ২৮০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ব্যয় হয় ২ লাখ ২ হাজার ৮০০ টাকা। এদিকে কিডনি রুগীর ডায়ালাইসিস করাতে সরাসরি মেডিকেল নয় এমন ৬ ধরনের নন-মেডিকেল খরচ হয় শূন্য থেকে ৯২ হাজার ৬০০ টাকা।

গবেষণায় আরো বলা হয়েছে, ডায়ালাইসিসের মধ্যে মোট মাসিক যে খরচ হয় এর মধ্যে ৩৫ দশমিক ২৮ শতাংশ ডায়ালাইসিস ফি দিতে যায়। এছাড়া কনসালটেশন ফি ২ দশমিক ৪১ শতাংশ, ওষুধ কিনতে ২২ দশমিক ৮৭ শতাংশ, পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ১০ দশমিক ০১ শতাংশ। আরও আছে বেড ফি ২ দশমিক ৪৯, মেডিকেল ইক্যুইপমেন্ট খরচ ৪ দশমিক ০৪ শতাংশ এবং অন্যান্য খাতে খরচ হয় ১ দশমিক ৭০ শতাংশ। আর নন মেডিকেল খরচের মধ্যে ডায়ালাইসিসে খরচ হয় যাতায়াতে ৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ, খাদ্যে ২ দশমিক ৭৪ শতাংশ এবং ঘুষ দিতে যায় দশমিক ১২ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

গবেষণায় বলা হয়েছে ওয়েলথ ইনডেক্স অনুযায়ী অসংক্রামক স্বাস্থ্য ব্যয়ের মধ্যে কিডনি ডায়ালাইসিসে একজন রোগীর পকেট থেকে মোট আয়ের ২৫ শতাংশ খরচ হয়। এছাড়া মোট খাদ্য-বহির্ভূত ব্যয়ের ৪০
শতাংশই যায় নিজের পকেট থেকে। এক্ষেত্রে অতি দরিদ্রদের পকেট থেকে খরচ হয় মোট আয়ের ৯২ দশমিক ৭১ শতাংশ,গরীবদের ৮৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ, মধ্য আয়ের মানুষের ৯২ দশমিক ৫৫ শতাংশ, ধনীদের ৮৪ দশমিক৩৮ শতাংশ এবং অতি ধনীদের ৮৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ খরচ হয়।

গবেষণাপত্র উপস্থাপনকালে বলা হয়, কিডনি ডায়ালাইসিস হলো একটি প্রসেস বা প্রক্রিয়া। মানুষের শরীরে যখন কিডনী কাজ করে না, তখন অনেক ধরনের বর্জ্য পদার্থ জমে যায়। সেজন্য কিডনির বিকল্প হিসেবে বর্জ্যগুলো পরিশোধিত করার যে প্রক্রিয়া সেটিকে ডায়ালাইসিস বলে। অর্থাৎ কিনডির বিকল্প হচ্ছে ডায়ালাইসিস।

আরো বলা হয়েছে, কিডনি নষ্ট হওয়ার সঙ্গে সবসময় ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে যার নিজস্ব চিকিৎসা এবং সংশ্লিষ্ট আলাদা খরচ থাকে। এগুলো মেটানো প্রায় অসাধ্য হয়ে পড়ে। এছাড়া কারো মানসিক স্বাস্থ্য এবং এ সংক্রান্ত কাউন্সেলিং দরকার হয়। এটি করাতে আলাদাভাবে অনেক টাকা লাগে। এক্ষেত্রে শুধু ধনীরাই এ ধরনের স্বাস্থ্য সেবা নিতে পারেন।

সারাবাংলা/জেজে/আরএস

কিডনি চিকিৎসা ব্যয় বিআইডিএস স্বাস্থ্য

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর