ডিসেম্বরে উদ্বোধন হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ১০ বিদ্যালয়
৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯:৩৮ | আপডেট: ৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:৩০
ঢাকা: এ মাসেই উদ্বোধন করা হচ্ছে দৃষ্টিনন্দনভাবে নির্মিত ১০ প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, শিক্ষার্থীদের আনন্দের সাথে পাঠ দিতে এবং শিক্ষার পরিবেশ আরও সুন্দর করতে ঢাকা মহানগরীতে দৃষ্টিন্দন প্রাথমিক স্কুল নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। এ ডিসেম্বরে দৃষ্টিন্দনভাবে নির্মিত ১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় উদ্বোধন করা হবে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলানগরস্থ বিআইসিসির মিডিয়াবাজার মিলনায়তনে গণস্বাক্ষরতা অভিযান ও ব্র্যাক শিক্ষা উন্নয়ন ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন আমাদের করণীয়’ শীর্ষক জাতীয় পর্যায়ের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ক্লাস্টার ভিত্তিতে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেছে নিয়েছি। সেসব প্রতিষ্ঠানে শরীর চর্চার শিক্ষক ও সঙ্গিত শিক্ষক নিয়োগ দিতে যাচ্ছি। এখানে চারুকলার শিক্ষকের পদ তৈরির বিষয়টি আলোচনায় রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাউন্সেলিং বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি ভাবা যেতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘শিশুদের ‘মিড ডে মিল’ দেওয়ার বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল চালু হবে। প্রথম পর্যায়ে ১৫০টি উপজেলার সব স্কুলে মিড ডে মিল চালু করা হবে । এ প্রকল্পটি একনেকে ওঠার অপেক্ষায় রয়েছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য মিড ডে মিল চালু করা হবে।’
ডা. বিধান রঞ্জন রায় বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষায় যেন শিক্ষার্থীরা ঝরে না পড়ে সেলক্ষ্যে উপবৃত্তি চালু করা হয়েছে। উপবৃত্তির সুফল বা সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না। লক্ষ্য করা গেছে, উপবৃত্তির জন্য এক স্কুলে শিক্ষার্থীদের নাম থাকে, কিন্তু তারা অন্যস্কুলে লেখাপড়া চলমান রাখে।’
তিনি আরও বলেন, ‘উপবৃত্তিকে আমরা ইনসেনটিভ বলতে পারি। এ ইনসেনটিভ দেওয়া হয় মূলত শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য। প্রকৃতপক্ষে উপবৃত্তির টাকা অপ্রতুল, এই টাকা বাড়ানো যায় কিনা সে বিষয়ে আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আজকের প্রোগ্রামটিতে নতুনত্ব রয়েছে। দুজন প্রাথমিকের শিক্ষার্থী আমাদের সাথে ডায়াসে বসেছেন। এই নতুনত্বটা হল-বাংলাদেশে যে পরিবর্তন হয়েছে তারই প্রতিফলন। আমাদের ছাত্র গণঅভ্যুত্থানে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি উল্লেখ্যযোগ্য মনে হয় সেটা হলো গ্রাফিতিগুলো। আন্দোলনের যারা অংশ নিয়েছিলেন তাদের মনের কথাগুলো ভাষা পেয়েছে এ গ্রাফিতিতে।‘
তিনি বলেন, ‘সত্যিই কি আমরা আকাঙ্খাগুলোকে বাস্তবায়ন করতে পারছি! সবসময় এই বিষয়টি দায়বোধ করি।’
গণস্বাক্ষরতা অভিযান এর নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এডুকেশন ওয়াচ এর আহ্বায়ক ড. আহমদ মোশতাক রাজা চৌধুরী, ব্র্যাক শিক্ষা উন্নয়ন ইনস্টিটিউট এর সিনিয়র অ্যাডভাইজার ড. মুহাম্মদ মুসা, টিচার ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট এর পরিচালক অধ্যাপক নাজমুল হক এবং গণস্বাক্ষরতা অভিযান এর উপপরিচালক তপন কুমার দাশ।
সারাবাংলা/জেআর/এইচআই
১০ দৃষ্টিনন্দন বিদ্যালয় উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার