ভারতীয় কাপড় পুড়িয়ে দেশীয় কাপড় বেচলেন রিজভী
১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:১৫ | আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:৩৩
রাজশাহী: বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ভারতীয় কাপড় পুড়িয়ে দেশীয় কাপড় স্বল্পমূল্যে বিক্রি করেছেন। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় রাজশাহী নগরীর ভুবন মোহন পার্কে ‘দেশীয় পণ্য কিনে হও ধন্য’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে রাজস্থানের জয়পুর টেক্সটাইলের একটি বেডশীট ছুঁড়ে ফেলেন। এরপর দলীয় নেতাকর্মীরা কেরোসিন ঢেলে বেডশীটটিতে আগুন জ্বালিয়ে দেন।
পরে রুহুল কবির রিজভী ঘোষণা দেন, এখানে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা কিছু কাপড় এনেছেন। স্বল্প মূল্যে এগুলো বিক্রি করা হবে। এরপর সেসব কাপড় বিক্রি করা হয়। সেখানে ২০০ টাকায় শাড়ি ও ১০০ টাকায় লুঙ্গি বিক্রি করা হয়।
এর আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এই কারণে আমরা ভারতের পণ্য বর্জন করছি যে, তারা এই দেশের মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করে না। তাদের বন্ধুত্ব শুধু শেখ হাসিনার সঙ্গে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ২৭ লাখ টন পেঁয়াজের চাহিদা। দেশে উৎপাদন করা হয় ৩৭ লক্ষ টন। নানা কারসাজি করে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হয় এবং ভারত থেকে কোটি কোটি টাকা দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। আমাদের ব্যবস্থাপনা যদি ঠিক করা যায়, তাহলে কেউ পেঁয়াজ নেবে না।’
রিজভী বলেন, ‘ওরা মনে করেছে, আমরা ওদের ওপর নির্ভরশীল। ওদের ছাড়া আমাদের চলবে না। এখন দেখছে কলকাতা নিউমার্কেট বন্ধ, দোকানগুলো চলে না। আমরা আর কারও মুখাপেক্ষি হয়ে থাকতে চাই না। এটা আমরা ভারতকে জানিয়ে দিতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের টাঙ্গাইলের শাড়ি, কুমারখালির লুঙ্গি-গামছা সারা পৃথিবীতে এক্সপোর্ট হয়। আমাদের জামদানি শাড়ি, তাঁতের শাড়ি, রাজশাহীর সিল্ক পৃথিবী বিখ্যাত। এখনও বিয়েশাদি হলে রাজশাহী সিল্ক পরিধান করা হয়। তাহলে কেন এ দেশের মহিলারা ভারতীয় শাড়ি কিনবে? কিনতে আপত্তি নেই। কিন্তু তারা যখন আমাদের উপহাস করে, তখন আমরা কেন কিনব? কেন আমরা মুখাপেক্ষি থাকব? আমরা মুখাপেক্ষি থাকব না।’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আজগুবি অপপ্রচার করছে। তাদের উদ্দেশ্য ভয়ংকর খারাপ। তারা চট্টগ্রাম দাবি করলে, আমরা বাংলা বিহার উড়িষ্যা দাবি করবো। আপনারা চট্টগ্রাম দখল করতে আসলে আমরা কি ললিপপ চুষবো?
তিনি বলেন, ‘মমতা ব্যানার্জি বাংলাদেশে শান্তি বাহিনী পাঠাতে বলেছে। একটি সার্বভৌমত্বের দেশে কিভাবে অন্য একটি বাহিনী পাঠায়। এ থেকে প্রমাণ হয় শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন, এতে ভারতের রাজ্য থেকে কেন্দ্র পযন্ত প্রত্যেক জনপ্রতিনিধির মন খারাপ।আদতে ভারতের রাজনীতিবিদদের গোড়া রসুনের মত একই জায়গায়। তারা এদেশের মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করে না; বন্ধুত্ব করে শেখ হাসিনার সাথে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈশা। উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকার, মহানগরের সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ, যুগ্ম আহ্বায়ক আসলাম সরকার, ওয়ালিউর রহমান রানা প্রমুখ।
সারাবাংলা/এমপি