আল-বশিরের নেতৃত্বে গঠন হচ্ছে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকার
১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:২৬ | আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯:০৯
সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ দেশত্যাগের পর মোহাম্মদ আল-বশিরের নেতৃত্বে গঠন হচ্ছে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকার। আল-বশির জোলানির নেতৃত্বে হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ইদলিব-ভিত্তিক সিরিয়ান স্যালভেশন সরকারের প্রধান তিনি।
সিরিয়ায় ১৩ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের পর রোববার (৮ ডিসেম্বর) ক্ষমতাচ্যুত হন বাশার। মাত্র ১২ দিনের অভিযানে দামেস্ক দখল করে নেয় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। তাদের নেতৃত্বে ছিল হায়াত তাহরির আল-শামস (এইচটিএস)।
বাশার আল-আসাদের শাসন পতনের পর বিরোধী গোষ্ঠীগুলো একটি নতুন সরকার গঠনে দ্রুত কাজ করছে। সিরিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ গাজি আল-জালালি বিরোধী দলগুলোর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে রাজি হয়েছেন। আল–জাজিরার খবরে বলা হয়, গতকাল বাশারবিরোধীরা একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। তাতে দেখা যায়, আল-বশির ও বাশার সরকারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-জালালির সঙ্গে বৈঠক করছেন এইচটিএসের প্রধান আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি। এরপর আল-আরাবিয়া টেলিভিশনকে আল-জালালি বলেন, সিরিয়ান স্যালভেশন গভর্নমেন্টের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে রাজি হয়েছেন তিনি।
কে এই মোহাম্মদ আল-বশির?
মোহাম্মদ আল-বশির ১৯৮৩ সালে সিরিয়ার ইদলিব গভর্নরেটের জাবাল জাওইয়া অঞ্চলে মাশউন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২০০৭ সালে আলেপ্পো ইউনিভার্সিটি থেকে যোগাযোগ স্পেশালাইজেশনসহ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে তিনি সিরিয়ান গ্যাস কোম্পানিতে কাজ করেন।
২০১০ সালে তিনি সিরিয়ার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি উন্নত ইংরেজি ভাষা কোর্স সম্পন্ন করেন। আল বশির ২০২১ সালে ইদলিব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শরিয়া এবং আইনে প্রশাসনিক সংস্থা এবং প্রকল্প পরিচালনার প্রশংসা প্রাপ্ত হন।
সিরিয়ার বিদ্রোহের পর, আল-বশির ২০২১ সালে সরকারি চাকরি ছেড়ে দেন এবং বাশার আল আসাদের শাসনের বিরুদ্ধে বিপ্লবী আন্দোলনে যোগ দেন।
তিনি ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ইদলিব ভিত্তিক স্যালভেশন সরকারের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তার মেয়াদে ই-গভর্নেন্সের প্রসার, রিয়েল এস্টেট ফি হ্রাস, এবং পরিকল্পনা সংক্রান্ত নিয়ম শিথিল করা হয়।
ইদলিবে স্যালভেশন গভর্নমেন্টের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে, আল-বশির প্রথমে সরকারের আওকাফ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইসলামি শিক্ষার পরিচালক হিসেবে এবং পরে ২০২২-২৩ পর্যন্ত উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
সারাবাংলা/এইচআই