লংমার্চে যোগ দিতে নয়াপল্টনে নেতাকর্মীরা
১১ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:৪১ | আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১:১৭
ঢাকা: বাংলাদেশের দূতাবাসে হামলা, পতাকা অবমাননা, ভারতের মিডিয়ায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চলমান ‘তথ্য সন্ত্রাস’ এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অযাচিত হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকার দাবিতে ঢাকা-আখাউড়া লংমার্চে যোগ দিতে নয়াপল্টনে জড়ো হচ্ছেন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
তীব্র শীত উপেক্ষা করে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা থেকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আসতে থাকেন তারা।
সকাল সাড়ে ৭টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়াপল্টন কার্যালয়ে আসছেন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। তাদের হাতে নানা রঙের ফেস্টুন, পোস্টার, ব্যানার ও ডিসপ্লে পেপার।
‘দিল্লি না ঢাকা না দিল্লি, ঢাকা ঢাকা’, ‘ভারতের আগ্রাসন, বন্ধ করো বন্ধ করো’, ‘ভুটান না সিকিম না, এ দেশ আমার বাংলাদেশ’, ‘রক্তে কেনা স্বাধীনতা, ভারতের আধিপত্য মানি না’, ‘প্রতিবেশী বন্ধু চাই, প্রতিবেশী প্রভু নয়’— এ রকম স্লোগান লেখা ফেস্টুন-পোস্টার উঁচিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন তারা। হাজার হাজার নেতাকর্মীর স্লোগান প্রকম্পিত হচ্ছে নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনের সড়ক।
ঘোষিত রুট অনুযায়ী নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে লংমার্চ শুরু হয়ে পল্টন-ফকিরাপুল-ইত্তেফাক মোড় হয়ে ফ্লাইওভারে উঠবে। এরপর সাইনবোর্ড-চিটাগং রোড-কাঁচপুর মোড়-তারাবো-বরফা-ভুলতা, গাউছিয়া-চনপাড়া, মাধবদী-পাঁচদোনা-সাহেপ্রতাব, ভেলানগর-ইটখোলা-মারজাল-বারুইচা হয়ে ভৈরব পৌঁছাবে লংমার্চ। এরপর ভৈরবে পথসভা করে আখাউড়া স্থলবন্দর অভিমুখে রওনা দেবে।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে লংমার্চ শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে হবে। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেবেন স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এস এম জিলানী, সভাপতিত্ব করবেন ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।
ভৈরব মোড়ের পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এস এম জিলানী, সভাপতিত্ব করবেন যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না।
আখাউড়া স্থলবন্দরে হবে সমাপনী সমাবেশ। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না, সভাপতিত্ব করবেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী।
আখাউড়া পৌছানোর আগে প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হবেন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতারা।
সারাবাংলা/এজেড