সিরিয়ায় সবচেয়ে বড় হামলা চালাল ইসরাইল
১১ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:৫৬ | আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১:৩৭
সিরিয়ায় গত ৪৮ ঘণ্টায় ৪৮০টি বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে দেশটির যুদ্ধজাহাজ আল-বাইদা এবং লাতাকিয়া বন্দরে থাকা ১৫টি নৌযান ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া দামেস্ক, হোমস, তারতুস এবং পালমিরার মতো শহরগুলোতে অস্ত্র উৎপাদন কারখানা, গোলাবারুদের গুদাম এবং বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে। ১৫টি জাহাজে হামলার ঘটনাও রয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) এই হামলা চালায় ইসরাইল।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘গত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আইডিএফ (সেনাবাহিনী) সিরিয়ার বেশিরভাগ কৌশলগত অস্ত্রের মজুদগুলোতে আঘাত করেছে এবং সেগুলোকে সন্ত্রাসীদের কবলে পড়া ঠেকাতে বাধা দিয়েছে।’
তবে ইসরাইলি ট্যাংক সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কাছে পৌঁছেছে এমন খবরকে গুজব বলে দাবি করেছে আইডিএফ। যদিও তাদের হামলার ফলে শহরটির গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য ছিল ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ কৌশলগত স্থাপনাগুলো ধ্বংস করা।’
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সিরিয়ার বিদ্রোহী দল হায়াত তাহরির আল-শামকে সতর্ক করে বলেছেন, যদি তারা ইরানকে সিরিয়ায় পুনর্গঠিত হতে দেয়, তবে ইসরাইল কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাবে।
উল্লেখ্য, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর থেকেই এসব হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) জানায়, গত রোববার (৯ ডিসেম্বর) আসাদ সরকারের পতনের পর থেকে সিরিয়ার ওপর অন্তত ৩১০টি হামলার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।
আল-জাজিরার ফ্যাক্ট চেকিং সংস্থা সানাদ জানিয়েছে, ইসরাইলি সেনারা হেরমনের পাহাড়সহ আশপাশের গ্রাম ও শহরগুলোতে প্রবেশ করেছে।
জানা গেছে, সিরিয়ার ভেতরে প্রায় ১৮ কিলোমিটার (১১ মাইল) পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইসরাইল। তবে দখল করা এলাকাগুলোতে এখনো কোনো স্থায়ী সামরিক ঘাঁটির উপস্থিতি নিশ্চিত করা যায়নি।
সারাবাংলা/এসডব্লিউ