ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমরা বাংলা-বিহার-উড়িষ্যা দাবি করেছিলাম। এতে মমতা ব্যানার্জি খুব মন খারাপ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আসেন কলকাতা-বিহার-উড়িষ্যা দখল করতে। আমরা তো আর ললিপপ খাব না’। আপনারা (ভারত) চট্টগ্রাম দখল করতে আসলে আমরা কি আমলকি খাব? নাকি আমরা চানুচুর খাব? আমরাও আমাদের শক্তি, আমাদের তেজ দিয়ে দেশকে রক্ষা করব।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদলের ঢাকা-আগরতলা লংমার্চ উদ্বোধনের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘‘আমরা রক্ত দিয়ে যে স্বাধীনতা কিনেছি, সেই স্বাধীনতা আবার বিক্রি করে দেব? আমরা পিন্ডির কাছ থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি, এটা দিল্লির কাছে আত্মসমর্পণ করব? এই রক্ত আমাদের মাঝে নেই।’’
তিনি বলেন, ‘আজকে যারা এখানে অঙ্গীকারাবদ্ধ বক্তব্য রেখেছে, তাদেরকে আমার মনে হয়েছে বর্তমান যুদ্ধে তারা একেকজন সেক্টর কমান্ডার। আমাদের মুন্না সেক্টর কমান্ডার, আমাদের রাজিব সেক্টর কমান্ডার, আমাদের জিলানী সেক্টর কমান্ডার, আমাদের রাকিব সেক্টর কমান্ডার, আমাদের নাসির সেক্টর কমান্ডার। ওদের বক্তব্যের মধ্যে স্বাধীনতার যে অনুচ্ছেদ, সেই অনুচ্ছেদের অঙ্গীকারগুলো রয়েছে। সুতরাং আজকে দিল্লির যারা সাম্প্রদায়িক শাসকগোষ্ঠী, তারা জেনে রেখ, তোমরা একজন ভয়ংকর রক্তপিপাসু নারী, এক লেডি ফিরাউনকে টেকানোর জন্য তাকে সমর্থন দিয়েছ।’’
রিজভী বলেন, ‘‘আজকে ভারতের শাসকগোষ্ঠী গোটা পৃথিবীর সমালোচনার পাত্র। তারা চায় মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, ভুটান তাদের কথায় চলুক, বাংলাদেশ তাদের কথায় চলুক। ওরা বাংলাদেশের মানুষের রক্তের যে তেজ, তাদের যে বীরত্ব, দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে যাওয়ার যে ঐতিহ্য, ওরা তা বুঝতে পারেনি।’’
জয় বাংলা স্লোগন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘জয় বাংলা তো ভারতের একটা অঙ্গ রাজ্যেরও স্লোগন। আমরা কি সেই স্লোগান দেব? আমরা তো বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলব। যে বাংলাদেশ আমার সবুজ-শ্যামল, দোয়েল-কোয়েল-ময়না-শ্যামা, পাকপাখালি, নদী-নালা, খাল-বিলের বাংলাদেশ। এ বাংলাদেশ তো কোনো দেশের অঙ্গরাজ্য বা খণ্ডিতাংশ নয়।’’