৭৮ নাবিকসহ ২ ট্রলার আটকের ছবিসহ বার্তা প্রকাশ ভারতীয় কোস্টগার্ডের
১১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:২৫ | আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:৪৯
চট্টগ্রাম ব্যুরো: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছবি প্রকাশ করে বাংলাদেশি ৭৮ নাবিকসহ মাছ ধরার দুটি ট্রলার আটক করে নিয়ে যাবার তথ্য দিয়েছে ভারতীয় কোস্টগার্ড।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে আটক করে নিয়ে যাবার দুইদিনের মাথায় ভারতীয় কোস্টগার্ডের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে তিনটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।
একটি ছবিতে নাবিকদের একটি ট্রলারের পাটাতনে মাথার পেছনে দুহাত রেখে হাঁটু গেড়ে বসে থাকতে দেখা গেছে। আর দুটি ছবিতে ট্রলারগুলো দেখা যাচ্ছে।
‘ইন্ডিয়ান কোস্টগার্ড’ ফেসবুক পেইজে ছবি তিনটি প্রকাশ করে এ সংক্রান্ত পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ভারতীয় সমুদ্রসীমায় মৎস্য আহরণের অভিযোগে এক অভিযানে ট্রলার ২টিসহ ৭৮ নাবিককে আটক করা হয়েছে। নাবিকসহ ট্রলার দুটি প্যারাদ্বীপের কাছে নেওয়া হয়েছে।’
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বঙ্গোপসাগরে খুলনায় হিরণ পয়েন্ট এলাকা থেকে ট্রলার দুটি ভারতীয় কোস্টগার্ড সদস্যরা আটক করে নিয়ে যায়।
ট্রলারগুলো হলো- এফভি লায়লা–২ ও এফবি মেঘনা–৫। এর মধ্যে এফভি লায়লা–২ এস আর ফিশিং নামে একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন। এফভি মেঘনা–৫ চট্টগ্রামভিত্তিক সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রো লিমিটেডের মালিকানাধীন।
সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রো লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক সুমন সেন সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, এফভি-মেঘনা ট্রলারটি গত ২৪ নভেম্বর চট্টগ্রাম থেকে মাছ আহরণের জন্য খুলনায় যায়। সেটি ১৪ ডিসেম্বর ফিরে আসার কথা ছিল। ওই ট্রলারে ৩৭ জন নাবিক আছেন। অন্যদিকে ৪২ জন নাবিক নিয়ে এফভি লায়লা-২ ট্রলারটি চট্টগ্রাম থেকে রওনা করে গত ২৭ নভেম্বর। সেটি ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ফিরে আসার কথা ছিল।
সোমবার সকালে বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রমের অভিযোগে ভারতীয় কোস্টগার্ড সেগুলো জব্দ করে। এরপর ট্রলারের মালিকপক্ষ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়, মেরিন ফিশারিজ একাডেমি এবং নৌপরিবহন অধিদফতরকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি অবহিত করে। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলমের সঙ্গে ট্রলারের মালিকপক্ষের ভার্চুয়াল সভা হয়। তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ট্রলারসহ নাবিকদের ফিরিয়ে আনার আশ্বাস দেন।
মঙ্গলবার দুপুরে এফভি-মেঘনা ট্রলারের ক্যাপ্টেন রাহুল বিশ্বাস সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রো লিমিটেডের মালিকানাধীন আরেকটি ট্রলারে বেতারবার্তা পাঠান এবং তাদের অবস্থা অবহিত করেন।
সারাবাংলা/আরডি/এমপি