ঢাকা: বাংলাদেশের দূতাবাসে হামলা, পতাকা অবমাননা, ভারতের মিডিয়ায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চলমান ‘তথ্য সন্ত্রাস’ এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অযাচিত হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকার দাবিতে জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের লংমার্চে পথে পথে নেতাকর্মীর ঢল নেমেছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ৯টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে লংমার্চ শুরুর পর পল্টন-ফকিরাপুল-ইত্তেফাক মোড় হয়ে ফ্লাইওভার হয়ে সাইনবোর্ড-চিটাগং রোড-কাঁচপুর মোড়-তারাব-বরফা-ভুলতা, গাউছিয়া-চনপাড়া,মাধবদী-পাঁচদোনা-সাহেপ্রতাব,ভেলানগর-ইটখোলা-মারজাল-বারুইচা হয়ে দুপুর পৌনে ১টায় ভৈরবে পৌঁছায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পথে পথে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও গাড়িবহর নিয়ে লংমার্চ কর্মসূচিতে অংশ নেন। এছাড়া সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিয়ে সমর্থন ব্যক্ত জানান অসংখ্য মানুষকে। তারা সবাই ভারতবিরোধী স্লোগান দেন।
লংমার্চে থাকা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জানান, পথে পথে নেতাকর্মীরা ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে স্লোগান দেন। জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি ছাড়াও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ছবি ও তাদের নামে স্লোগান দেন তারা।

নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও গাড়িবহর নিয়ে লংমার্চ কর্মসূচিতে অংশ নেন
এর আগে, সকাল সোয়া ৯টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে আগরতলা অভিমুখে যাত্রা করে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের লংমার্চ। এটি পল্টন-ফকিরাপুল-ইত্তেফাক মোড় হয়ে ফ্লাইওভারে ওঠে।
এরপর সাইনবোর্ড-চিটাগং রোড-কাঁচপুর মোড়-তারাবো-বরফা-ভুলতা, গাউছিয়া-চনপাড়া, মাধবদী-পাঁচদোনা-সাহেপ্রতাব, ভেলানগর-ইটখোলা-মারজাল-বারুইচা হয়ে দুপুর দেড়টায় ভৈরব পৌঁছায়। সেখানের পথসভা শেষে দুপুর আড়াইটায় আগরতলা অভিমুখে আখাউড়া স্থলবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয় লংমার্চ।