চসিকে সাড়ে ৮ কোটি টাকার সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শুরু
১১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:৫২ | আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:৪৮
চট্টগ্রাম ব্যুরো: সাড়ে আট কোটি টাকার তিন সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের কাজ শুরু করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন দায়িত্ব নেওয়ার পর এ প্রথম প্রকল্পভিত্তিক বড় কাজ শুরু করছে সংস্থাটি।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র নগরীর তিনটি ওয়ার্ডে গিয়ে পর্যায়ক্রমে এসব প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
প্রকল্পগুলো হলো- নগরীর ২৬ নম্বর উত্তর হালিশহর ওয়ার্ডে মহেশখালের সৌন্দর্যবর্ধন, ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডে ফিরোজশাহ মাঠের উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধন এবং ১১ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডে বহুরূপী মাঠের উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধন।
চসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আজিজ আহমেদ সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, মহেশখালের প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে দুই কোটি ৭৮ লাখ ১৬ হাজার ৮৭৭ টাকা। ফিরোজশাহ মাঠের জন্য তিন কোটি ২ লাখ ৫৬ হাজার ৮৫৭ টাকা এবং বহুরূপী মাঠে দুই কোটি ৭৪ লাখ ৫৬ হাজার ৮০০ টাকা খরচ হবে।
উদ্বোধনী বক্তব্যে মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম একটি গ্রিন সিটি হবে- এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের মাধ্যমে মহেশখালের খালের পাড়ে গ্রিন ভিউ এবং ওয়াকওয়ে তৈরি করা হবে, যাতে নাগরিকরা এ এলাকায় বিনোদনের সুযোগ পান। এ উদ্যোগ নগরবাসীর জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
‘আমরা চট্টগ্রাম শহরে পরিকল্পিতভাবে পার্ক এবং মাঠের সংখ্যা বাড়াতে চাই। এটি শুধু উন্নয়ন নয়, নাগরিকদের মৌলিক অধিকারও। আমাদের লক্ষ্য ৪১টি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ তৈরি করা। ফিরোজশাহ ও বহুরূপী মাঠ উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা যুবসমাজকে শরীর চর্চার সুযোগ দিতে চাই, যা তাদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।’
জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা। এই সমস্যার মূল কারণ হলো খাল পরিষ্কার না থাকা এবং অপরিকল্পিত উন্নয়ন। আমরা খালগুলোর গভীরতা বাড়ানো, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা এবং গণসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধানে কাজ করছি। সিডিএ এবং সিটি করপোরেশনের মধ্যে সমন্বয় বাড়িয়ে খাল খননের কার্যক্রম আরও কার্যকর করতে হবে।’
চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও নাগরিক সংকট নিরসনে নগর সরকারের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘একটি সিটি গভর্নমেন্টের অধীনে সব সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান কাজ করলে পরিকল্পিত উন্নয়ন সম্ভব। আমরা চাই নাগরিকদের মৌলিক সেবা নিশ্চিত করে একটি আধুনিক ও টেকসই চট্টগ্রাম গড়ে তুলতে।’
এ সময় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল কাশেম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমি, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন, নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার জাহান ও মাহমুদ শাফকাত আমিন, সহকারী প্রকৌশলী সজীব রেজা হক, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহি, মেয়রের একান্ত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/আরডি/ইআ