ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে নির্যাতন
১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:০১ | আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:০৩
চুয়াডাঙ্গা: বিদেশে মোটা অংকের বেতনের চাকরি প্রলোভন দেখিয়ে আলমডাঙ্গার ৩৭ ব্যক্তিকে ইতালি পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে লিবিয়ায় নিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে।
প্রতারণা ও নির্যাতনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা প্রেস ক্লাবে নির্যাতিতদের স্বজনরা সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় তারা নির্যাতনের হৃদয়বিদারক বর্ণনা তুলে ধরেন। এসময় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত ২২ পরিবার অংশ নেন।
সংবাদ সম্মেলনে স্বজনরা জানান, আলমডাঙ্গা উপজেলার উপজেলার বেলগাছী গ্রামের জান্টু মেম্বারের ছেলে লিবিয়া প্রবাসী সাগর একই উপজেলার নওদা বন্ডবিল গ্রামের শহীদুল ইসলামের ছেলে সজিব আহম্মেদকে ইতালিতে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখায়। ইতালিতে নিবে বলে ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। লিবিয়া প্রবাসী সাগরের বাবা জান্টু মেম্বার ও ছেলে জীমসহ একটি চক্র এসব টাকা গ্রহণ করেন।
টাকা নিয়ে তারা ইতালির কাগজপত্র না দিয়ে লিবিয়ার যাওয়ায় কাগজপত্র দেন। লিবিয়ায় কেনো জানাতে চাইলে তারা বলেন- লিবিয়া থেকে ইতালিতে পাঠানো হবে বলে জানায় ওই চক্র।
সজিব লিবিয়ায় যাওয়ার পর জান্টু মেম্বারের ছেলে সাগর আরও ১০ লাখ টাকা দিতে চাপ দেয়। টাকা না দিলে সজিবের হাত পায়ের নখ উপড়ে ফেলার হুমকি দেয়। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। সজিব ভিডিও কলে নির্যাতনের বর্ণনা দেন পরিবারকে। জীবন বাঁচাতে তাদের আরও ৭ লাখ টাকা দেওয়া হয়। এভাবে মোট ২১ লাখ টাকা নেয় তারা। এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বর্ণনা দেন সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের ১৯জনসহ এভাবে ৩৭ জনকে জিম্মি করে টাকা আদায় করা হয়েছে। এসব ঘটনায় গত ১১ ডিসেম্বর আলমডাঙ্গা খেঁজুরতলা গ্রামের মৃত মঙ্গল মন্ডলের ছেলে রেজাউল হক বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- উপজেলার বেলগাছী গ্রামের ঠান্ডুর ছেলে জীম, জান্টুর ছেলে জীবন ও সাগর, মৃত ইয়াছিন মালিথার ছেলে জান্টু ও তার স্ত্রী আমেনা খাতুন, মরহুম ইয়াছিন মালিথার ছেলে ঠান্টু ও তার স্ত্রী বেলগাছী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিক বেদেনা খাতুনকে।
সারাবাংলা/এসআর