‘বিডিআর’ নাম ফিরিয়ে আনাসহ ৮ দাবি চাকরিচ্যুতদের
১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩:০৯ | আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:৫৯
ঢাকা: বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) নাম পুনরায় ফিরিয়ে আনাসহ ৮ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় চাকরিচ্যুত সদস্যরা।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের দ্বিতীয় তলায় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। বিডিআর নাম পুনরায় ফিরিয়ে আনাসহ ৮ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা হোক। আর যাদের ওপর বিনা কারণে অন্যায় অত্যাচার চালানো হয়েছে তাদের পুনর্বাসন করা হোক।
লিখিত বক্তব্যে বিডিআর কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ফয়জুল আলম বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ইতিহাসের সবচেয়ে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়। এ ঘটনার জেরে নিরীহ ও জড়িত নয় এমন বিডিআর সদস্যদের চাকরিচ্যূত করা হয়। বিনা বিচারে কারাগারে রাখা হয় বছরের পর বছর। প্রহসনের বিচারে পাওয়া বেশিরভাগই এখনো সাজা খাটছে। তারা অনাহারে ও বিনা চিকিৎসায় কাতরাচ্ছে। আবার সাজা খেটে অনেকে জেল থেকে বের হলেও অর্থাভাবে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপণ্য হচ্ছে।
আমরা চাই এই ঘটনার সঠিক, নির্ভরযোগ্য একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে তদন্ত করা হোক। যাতে নির্দোষীরা মুক্তি পায় ও প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পায়। এতে দেশের মানুষ জানতে পারবে প্রকৃতপক্ষে সেদিন কি ঘটেছিল।
৮ দফা দাবি হলো-
১. ফেসিষ্ট স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার প্রহসনমূলক সকল মামলা ও প্রহসনমূলক সকল রায় বাতিল করতে হবে।
২. ১৬ বছর যাবৎ কারাগারে থাকা নির্দোষ সকল বিডিআর সদস্যদের নিঃশর্ত কারামুক্তি দিতে হবে।
৩. হাইকোর্টের রীট অনুযায়ী দ্রুত পুনঃতদন্ত শুরু করতে হবে।
৪. নিরীহ বিডিআরদের রিমান্ডে নির্যাতনের ফলে মৃত্যুর সঠিক কারন উদঘাটন করে দোষীদের শাস্তি প্রদান করতে হবে।
৫. সকল বিডিআর সদস্যদের (আনুমানিক ১৮৫২০ জনকে) চাকুরীতে পুনঃবহাল করতে হবে।
৬. সকল সেনা শহীদ, বিডিআর শহীদ ও ক্ষতিগ্রস্থ সকল বিডিআর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ (বেতন, ভাতা ও পেনশন) পূনর্বাসন করতে হবে।
৭. ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশ রাইফেলস নাম পুনঃস্থাপন করতে হবে।
৮. ২৫ ও ২৬ শে ফেব্রুয়ারীকে শহীদ সেনা দিবস ঘোষণা করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বেশ কয়েকজন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্য ও তাদের আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/ইউজে/এমপি