শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি রাষ্ট্রপতি-প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:১৬ | আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩:২৩
ঢাকা: রাজধানীর মিরপুরে শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা ৫ মিনিটের দিকে প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে প্রধান উপদেষ্টা শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি এ শ্রদ্ধা জানান। এরপর সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় স্যালুট জানায়।
পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও শহিদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পাশাপাশি শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে যখন মুক্তিবাহিনীর জয় সুনিশ্চিত, যখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পরাজয়ের প্রহর গুনছে, চূড়ান্ত সে বিজয়ের মাত্র দুদিন আগে আলবদর, আলশামস ও অন্যান্য দোসরদের নিয়ে পাকিস্তানি বাহিনী এক ঘৃণ্য নীলনকশা বাস্তবায়ন করে। মুক্তির আকাঙ্ক্ষায় অপেক্ষমাণ বাংলাদেশকে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে পঙ্গু করতে একযোগে দেশের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়।
বুদ্ধিজীবী নিধনের এই নীলনকশা হানাদার বাহিনী শুরু করে একাত্তরের ১০ ডিসেম্বর থেকেই। অধ্যাপক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, শিল্পী, প্রকৌশলী ও লেখকসহ দেশের দুই শতাধিক কৃতী সন্তানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। চূড়ান্ত খড়্গ নেমে আসে ১৪ ডিসেম্বরের কালরাতে। পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞের পর ঢাকার মিরপুর ও রায়েবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বুদ্ধিজীবীদের লাশ ফেলে রাখে হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা।
১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের ঊষালগ্ন এলে মুক্তির নিঃশ্বাস ফেলে আপামর জনতা। মিরপুর ও রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে গেলে পাওয়া যায় বুদ্ধিজীবীদের মরদেহ। হাত-পা বাঁধা সেসব মরদেহ জুড়ে আঘাত আর ক্ষতচিহ্ন। গুলি, ধারালো অস্ত্রের দাগ। অনেক মরদেহ স্বজনরা শনাক্ত করতে পারেননি।
জাতির সেসব শ্রেষ্ঠ সন্তানকে শ্রদ্ধা জানাতেই ১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়ে আসছে। মিরপুর ও রায়েরবাজারে শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে এ দিন নেমে আসে জনতার ঢল।
সারাবাংলা/এনআর/টিআর
প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ