জনপ্রিয় কবি হেলাল হাফিজ জীবদ্দশায় একুশে পদক কিংবা স্বাধীনতা পুরস্কারের মতো রাষ্ট্রীয় কোনো সম্মাননা পাননি। তার মরদেহে শ্রদ্ধা জানাতে এসে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ইঙ্গিত দিয়েছেন, কবিতে মরণোত্তর সম্মাননা দেওয়া হতে পারে।
ফারুকী বলেন, ‘কবি কখনো পদক-পুরস্কারের জন্য লিখেন না। তবু দুর্ভাগ্য, আমরা হেলাল হাফিজকে কোনো স্বাধীনতা পুরস্কার বা একুশে পদক দিতে পারিনি। উনি এটি পাওয়ার জন্য লিখেননি। কিন্তু জাতি হিসেবে তাকে সেই সম্মান দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। এ বিষয়ে কী করা যায়, আমরা দেখব।’
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বাংলা একাডেমিতে কবি হেলাল হাফিজের মরদেহে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তারুণ্য ও যৌবনের গান বললেই হেলাল হাফিজের কথা মনে পড়ে— এমন মন্তব্য করেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি বলেন, ‘মাত্র একটি কবিতার বই লিখে একটি জাতির শিল্প-সংস্কৃতির ইতিহাসে এত প্রভাব আর কোনো কবি রাখতে পেরেছেন কি না, আমার জানা নেই। উনি খুব বেশি লিখেননি। কিন্তু তারুণ্য ও যৌবনের গান বললেই হেলাল হাফিজের কথা মনে পড়ে। এটি উনার অর্জন।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই, বাংলাদেশের সংস্কৃতি জগত উনার শূন্যতা অনুভব করবে। উনার অবস্থান এক বইতেই চিরস্থায়ী করে রেখেছেন। তিনি তার কবিতাতেই বেঁচে থাকবেন।’
ফারুকী আরও বলেন, ‘কবি একাকী জীবন কাটিয়েছেন। এটি শিল্পীর বেছে নেওয়া একটি জীবন। আমর মনে হয় না উনার জীবন নিয়ে আক্ষেপ বা অভিযোগ ছিল। আমি এ বিষয়ে জানি না।’
মন্ত্রণালয় থেকে কবির স্মরণে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না— জানতে চাইলে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘শিল্পী শক্তিশালী হলে তাকে বাঁচিয়ে রাখতে হয় না, তাকে তার কবিতাই বাঁচিয়ে রাখবে। তবে মন্ত্রণালয় থেকে কী কী করা যায়, আমরা করব। আপনারা খুব দ্রুতই শুনবেন।’
এর আগে শনিবার দুপুরে কবির মরদেহ নেওয়া হয় বাংলা একাডেমিতে। সেখানে বাংলা একাডেমির পক্ষে মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম শ্রদ্ধা জানান কবির মরদেহে। সাহিত্য অঙ্গনের ব্যক্তিত্বরাও এ সময় কবিকে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় কবির পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।