ব্লুমবার্গ টেকসই উন্নয়নের তালিকায় ১০ বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান
১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:২৭ | আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২:২৪
ঢাকা: ব্লুমবার্গের এনভায়রনমেন্ট, সোশ্যাল অ্যান্ড গভর্নেন্স (ইএসজি) তালিকায় কর্পোরেট জগতে টেকসই উন্নয়নে নতুন করে জায়গা করে নিয়েছে আরও ৩টি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান। ফলে, এ তালিকায় থাকা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১০টিতে। এটি গত বছরের তুলনায় একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি, যেখানে ৭টি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল।
মর্যাদাপূর্ণ এ তালিকায় স্থান পাওয়া ১০টি স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের ৬টিই দেশীয়ভাবে বিকশিত প্রতিষ্ঠান। তালিকায় অন্তর্ভুক্ত নতুন তিনটি প্রতিষ্ঠান হলো- বিএসআরএম লিমিটেড, লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ ও এমজেএল বাংলাদেশ। এ সাফল্য ইএসজি কমপ্ল্যায়েন্স গ্রহণ ও টেকসই উন্নয়নের প্রতি দেশের অব্যাহত চাহিদার বিষয়টি তুলে ধরেছে। ২০২৩ সালের টেকসই উন্নয়ন প্রকাশ অনুযায়ী, এ তালিকায় আগের ও এবারের মনোনীত ৭টি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে- বিএটি বাংলাদেশ (বিএটিবি), গ্রামীণফোন, ম্যারিকো বাংলাদেশ, ব্র্যাক ব্যাংক, আইডিএলসি ফাইন্যান্স, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ও ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ।
এ অর্জন প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনেরও পরিচায়ক। যেমন- বিএসআরএম পানি পুনর্ব্যবহার ও বায়ু দূষণ রোধে উদ্ভাবনী পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। আবার লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ, তাদের চারটি টেকসই উন্নয়ন স্তম্ভ- জলবায়ু, পুনর্ব্যবহারযোগ্যতা, প্রকৃতি ও মানুষের মাধ্যমে নেট-জিরো কার্বন-নিঃসরণ অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করছে। বিএটি বাংলাদেশ দেশের একমাত্র প্রতিষ্ঠান, যারা তাদের সব উৎপাদন এলাকায় পানির টেকসই ব্যবস্থাপনার জন্য অ্যালায়েন্স ফর ওয়াটার স্টুয়ার্ডশিপের মূল সনদ অর্জন করেছে।
এ বিষয়ে আইডিএলসি ফাইন্যান্সের সিইও এম জামাল উদ্দিন বলেন, “একটি উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে নেতৃত্ব দেয়ায় আমাদের ইএসজি স্কোর বেড়েছে। আমাদের কার্বন নিঃসরণের হার স্বচ্ছভাবে প্রকাশ করে, শূন্য কার্বন নিঃসরণের উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থেকে এবং সবুজ (গ্রিন) ও টেকসই অর্থায়নে বিনিয়োগের মাধ্যমে ইচ্ছাকে বাস্তবে রূপদান করছি আমরা।”
বিএটি বাংলাদেশের হেড অব করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স শাবাব আহমেদ চৌধুরী বলেন, “সাসটেইনিবিলিটি নিয়ে কাজ করার মাধ্যমে দেশের সেরা ১০ প্রতিষ্ঠানের একটি হিসেবে ব্লুমবার্গের স্বীকৃতি পেয়ে আমরা আনন্দিত। এ স্বীকৃতি টেকসই উন্নয়ন নিয়ে আমাদের অঙ্গীকার ও দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার প্রচেষ্টাকে তুলে ধরেছে।”
লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের সিইও মোহাম্মদ ইকবাল চৌধুরী জানান, তাদের মূল প্রতিষ্ঠান উদ্ভাবনী ও টেকসই বিল্ডিং সমাধানের ক্ষেত্রে বৈশ্বিক নেতৃত্বে রয়েছে। তাদের প্রতিষ্ঠান শূন্য কার্বন নিঃসরণের লক্ষ্য পূরণে কাজ করে যাচ্ছে।
শীর্ষস্থানীয় ইএসজি রেটিং প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ব্লুমবার্গ, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠানের টেকসই উন্নয়ন প্রতিবেদন মূল্যায়ন করে থাকে। পরিবেশগত, সামাজিক ও শাসনের (ইএসজি) নানান বিভাগের ভিন্ন ভিন্ন মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠানগুলোর মূল্যায়ন করা হয়।
সারাবাংলা/জিএস/আরএস