৩০ বছর স্থির থেকে উত্তরে যাত্রা বিশ্বের সবচেয়ে বড় বরফখণ্ডের
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৪:৩৫ | আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:০৩
বিশ্বের সবচেয়ে বড় বরফখণ্ড, এটুথ্রিএ (A23a), দীর্ঘসময় একটি ঘূর্ণাবর্তে আটকে থাকার পর আবারও তার চলাচল শুরু করেছে।
এই বরফখণ্ডটির আয়তন ৩,৮০০ বর্গকিলোমিটার (১,৫০০ বর্গমাইল), যা গ্রেটার লন্ডনের দ্বিগুণেরও বেশি, এবং এটি ৪০০ মিটার (১,৩১২ ফুট) পুরু। এটি ১৯৮৬ সালে অ্যান্টার্কটিকা থেকে পৃথক হয়। তবে তা দ্রুতই অ্যান্টার্কটিকার উপকূলের কাছে আটকে যায়।
বরফখণ্ডের গভীরতার কারণে এর নিচের অংশ ওয়েডেল সাগরের তলদেশে আটকে যায়। এই সাগরটি দক্ষিণ মহাসাগরের অংশ। ফলে, এটি ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে স্থির অবস্থায় ছিল।
২০২০ সালে এটি উত্তরের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করে। তবে এই বছরের বসন্তকাল থেকে এটি দক্ষিণ অর্কনি দ্বীপপুঞ্জের কাছে একটি ঘূর্ণায়মান জলপ্রবাহে আটকে ঘুরপাক খাচ্ছিল। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভে (বিএএস) জানায়, বরফখণ্ডটি এখন আরও উত্তরে অগ্রসর হচ্ছে।
বিএএস-এর মহাসাগরবিজ্ঞানী ড. অ্যান্ড্রু মেইজার্স বলেন, ‘এটুথ্রিএ-এর আবার চলাচল শুরু করা রোমাঞ্চকর একটি বিষয়।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতে আগ্রহী যে এটি অ্যান্টার্কটিকা থেকে পৃথক হওয়া অন্যান্য বড় বরফখণ্ডগুলোর মতো একই পথ ধরে এগোবে কি না।’
ধারণা করা হচ্ছে, এটুথ্রিএ শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ মহাসাগর ছাড়িয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে প্রবেশ করবে। সেখানে উষ্ণ পানির সংস্পর্শে এসে এটি ছোট ছোট বরফখণ্ডে ভেঙে যাবে এবং গলে যাবে।
ড. মেইজার্স এবং বিএএস টিম বরফখণ্ডগুলো স্থানীয় বাস্তুতন্ত্রের ওপর কী প্রভাব ফেলে তা নিয়ে গবেষণা করছে। এক বছর আগে ‘আরআরএস স্যার ডেভিড অ্যাটেনবরো’ জাহাজের গবেষকরা এটুথ্রিএ-এর চারপাশের পানির তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন।
এ দলের সদস্য এবং জীবরাসায়নবিদ লরা টেলর বলেন, ‘আমরা জানি এই বিশাল বরফখণ্ডগুলো তাদের অতিক্রম করা পানিতে পুষ্টি সরবরাহ করে, যা কম উৎপাদনশীল এলাকাগুলোতে প্রাণবন্ত বাস্তুতন্ত্র তৈরি করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে আমরা এখনও নির্দিষ্ট বরফখণ্ড, তাদের আকার এবং উৎস এই প্রক্রিয়ায় কী ধরনের পার্থক্য তৈরি করতে পারে সেই বিষয়ে অজানা।’
সারাবাংলা/এনজে