মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা
রাশিয়ায় উত্তর কোরিয়ার ৩০ সেনাকে হত্যার দাবি ইউক্রেনের
১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:২৯ | আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:৩২
রাশিয়ায় ক্রুস্ক প্রদেশে গত এক সপ্তাহে ইউক্রেনীয় বাহিনীর হামলায় উত্তর কোরিয়ার কমপক্ষে ৩০ সৈন্য নিহত বা আহত হয়েছে বলে দাবি করছে ইউক্রেন। তবে মৃত্যুর বিষয়ে রাশিয়া কিংবা উত্তর কোরিয়া কোনো মন্তব্য করেনি।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
গত আগস্টে রাশিয়ায় হামলা চালিয়ে রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ক্রুস্কের কিছু অংশ দখল করে নেয় ইউক্রেনের সেনারা। হারানো সেই অংশ পুনরুদ্ধারের জন্য রাশিয়ার সেনাদের সঙ্গে যোগ দেয় রাশিয়ার মিত্র দেশ উত্তর কোরিয়ার সেনা। সেই থেকে ক্রুস্কের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন গ্রাম-শহরে মোতায়েন রয়েছেন উত্তর কোরীয় সেনারা।
ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত এক সপ্তাহে ক্রুস্কের প্লেখোভো, ভরোঝবা এবং মার্তিনোভকা গ্রামে ইউক্রেনীয় সেনাদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘাত হয়েছে উত্তর কোরীয় সেনাদের। সে সময়ই নিহত ও আহতের মুখোমুখি হয়েছেন উত্তর কোরিয়ার সেনারা।
একটি ইউক্রেনীয় ফ্রন্টলাইন ড্রোন ইউনিট রোববার ভিডিও পোস্ট করেছে, যেখানে ২০ এর অধিক উত্তর কোরিয়ার সৈন্যের মৃতদেহ একটি বরফের মাঠে সারিবদ্ধভাবে দেখা যায়। তবে, পরিচয় সনাক্ত করার মতো ভিডিওর মান যথেষ্ট ভালো ছিল না।
প্লেখোভোর কাছাকাছি সিএনএন দ্বারা ভূ-অবস্থান করা অন্য ড্রোন ভিডিওতে দেখা গেছে, সৈন্যরা সপ্তাহান্তে পিছু হটতে দেখা যাচ্ছে, স্লেজে কিছু হতাহতের ঘটনা ঘটছে, তবে তারা রাশিয়ান না কোরিয়ান তা স্পষ্ট নয়।
এপিনিউজের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় রাশিয়া এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
ইউক্রেন দাবি করে আসছে, মস্কোকে সাহায্য করতে উত্তর কোরিয়া অন্তত ১০ হাজার সেনা পাঠিয়েছে।
ক্রিমিয়াকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা পালন না করা এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের কিয়েভের তদবিরের জেরে কয়েক বছর টানাপোড়েন চলার পর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজে এ অভিযানের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
গত তিন বছরের যুদ্ধে দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, ঝাপোরিজ্জিয়া এবং খেরসন— ইউক্রেনের এই চার প্রদেশের দখল নিয়েছে রুশ বাহিনী। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে চার প্রদেশকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতিও দিয়েছে মস্কো।
সারাবাংলা/এইচআই