ফ্রান্সে ঘূর্ণিঝড়
‘এখন পারমাণবিক যুদ্ধের পরবর্তী পরিস্থিতি’
১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২:১৫ | আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২:২৩
ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল ফ্রান্সের মায়োটে দ্বীপে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত হওয়ার পরে মোহামেদ ইসমাইল নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, এটি যেন পারমাণবিক যুদ্ধের পরবর্তী পরিস্থিতি। পুরো একটি এলাকা ধ্বংস হয়ে গেছে।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, মায়োটে দ্বীপে ঘূর্ণিঝড়ের সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার (১৪০ মাইল)। ঘূণিঝড়ের পর শত শত লোকের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে এমনকি সংখ্যাটি কয়েক হাজার হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদ্ধারকর্মীরা এখনও কিছু এলাকায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছে।
গত শনিবার পূর্ব আফ্রিকাসংলগ্ন ওই দ্বীপপুঞ্জের বিশাল অংশে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় চিডো। এতে পাহাড়ের ধারের শত শত বাড়িঘর মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের ব্যবস্থা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
অন্য একজন বাসিন্দা বলেন, ‘আমাদের কাছে তিন দিন ধরে কোনো খাবার পানি নেই। আমার অনেক প্রতিবেশি ক্ষুধার্ত এবং তৃষ্ণার্ত।’
মায়োটের সিনেটর সালামা রামিয়া ফরাসি গণমাধ্যমকে জানান, সব থেকে চিন্তার বিষয় অনেকে এখনও অভুক্ত রয়েছেন। তাদের কাছে খাওয়ার বা পান করার মতো কোনো কিছুই নেই।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই এলাকায় প্রায় তিন লাখ ২০ হাজার জনসংখ্যার বসবাস। তবে বিপুল সংখ্যক অনথিভুক্ত অভিবাসীর কারণে মৃত্যুর সংখ্যা নির্ধারণ করতে অসুবিধা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সাহায্য আসতে শুরু করেছে। তবে এখনও সব জায়গায় পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। প্রায় ৮৫ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ বিছিন্ন হয়ে গেছে।
এর আগে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছিলেন, জনগণকে উদ্ধার করতে ২৫০ উদ্ধারকর্মী পাঠানো হচ্ছে।
সারাবাংলা/এইচআই