সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদারে কানাডার নতুন পদক্ষেপ
১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩:১৪ | আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:৩৭
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় একটি যৌথ ‘স্ট্রাইক ফোর্স’ গঠনের ঘোষণা দিয়েছে কানাডা। এর আগে কানাডার পণ্যে ২৫% শুল্ক আরোপের হুমকি দেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর পরপরই এই পদক্ষেপ নিল দেশটি।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর চারজন মন্ত্রী এ পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। তারা ব্যক্তিগতভাবে ট্রাম্পের আসন্ন প্রশাসনের সঙ্গে এ পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠক করেছিলেন। এই পরিকল্পনায় নজরদারি, গোয়েন্দা তথ্য এবং প্রযুক্তির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
সীমান্তে উন্নত নজরদারি এবং আন্তসীমান্ত অপরাধ মোকাবিলা করতেই নতুন এই ফোর্স গঠনের কথা ভাবছে ট্রুডো প্রশাসন।
এর আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, কানাডা যদি অনিয়মিত অভিবাসী এবং অবৈধ মাদকের প্রবাহ বন্ধে সীমান্ত সুরক্ষিত না করে তাহলে ২০ জানুয়ারি শপথ নেওয়ার পরই তাদের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।
পরিকল্পনার বিস্তারিত বলতে গিয়ে কানাডার নবনির্বাচিত অর্থ ও আন্তসরকার বিষয়ক মন্ত্রী ডমিনিক লেব্ল্যাং জানান, অবৈধ মাদক এবং অনিয়মিত অভিবাসনের প্রবাহ থেকে সীমান্ত সুরক্ষিত করতে কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এগুলো একই সঙ্গে উত্তর আমেরিকার সমৃদ্ধির মূল ভিত্তি—মানুষ এবং পণ্যের মুক্ত প্রবাহ নিশ্চিত করবে।
পরিকল্পনায় রয়েছে—ফেন্টানাইল (মাদক) বাণিজ্য বন্ধ করা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জন্য নতুন সরঞ্জাম সরবরাহ, মার্কিন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় বৃদ্ধি, তথ্য বিনিময় বাড়ানো এবং সীমান্তে যানবাহনের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ।
প্রস্তাবিত ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে—আকাশ থেকে নজরদারি টাস্ক ফোর্স, যেখানে হেলিকপ্টার, ড্রোন এবং বন্দরগুলোতে নজরদারি টাওয়ার থাকবে। অবৈধ মাদক শনাক্ত করতে পারবে এমন কুকুরকে প্রশিক্ষণের জন্য কানাডা বর্ডার সার্ভিস এজেন্সিকে (সিবিএসএ) তহবিল দিচ্ছে সরকার। এছাড়া, ঝুঁকিপূর্ণ প্রবেশপথগুলোর জন্য নতুন শনাক্তকরণ সরঞ্জাম সরবরাহ করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার যৌথ ‘স্ট্রাইক ফোর্স’সম্পর্কে লেব্ল্যাং বলেন, সিনথেটিক ড্রাগ ইউনিট, সম্প্রসারিত যৌথ বাহিনী এবং নতুন কার্যক্ষমতা ও অবকাঠামোযুক্ত দ্বিপক্ষীয় বিশেষ ফোর্স তৈরি করা হবে।
নতুন অর্থমন্ত্রী জানান, সরকার এই পরিকল্পনার জন্য ১৩০ কোটি কানাডিয়ান ডলার (৯০ কোটি মার্কিন ডলার) বরাদ্দ করবে।
লেব্ল্যাং জানান, তিনি এবং অন্য কর্মকর্তারা ট্রাম্পের আসন্ন ‘সীমান্ত প্রধান’ টম হোমানের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা করেছেন।
এদিকে গত ১ বছরে যুক্তরাষ্ট্র–কানাডা সীমান্তে ২৩ হাজারেরও বেশি অনুপ্রবেশকারী আটক করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
কানাডা পুলিশ জানায়, গত চার বছরে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সীমান্ত অঞ্চলে আরও বেশি ক্যামেরা এবং সেন্সর স্থাপন করা হয়েছে। তবে এসব অনুপ্রবেশকারীদের থামানো তাদের পক্ষে কঠিন বলে স্বীকার করেছে তারা।
সারাবাংলা/এসডব্লিউ