Thursday 19 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চলতি বছর নিপাহ ভাইরাসে ২ শিশুসহ ৫ জনের মৃত্যু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:৩১ | আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:১২

নিপাহ ভাইরাসবিষয়ক সচেতনতামূলক সভা। ছবি: সারবাংলা।

ঢাকা: চলতি বছর দেশের চার জেলায় নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও দুইজন শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) আইইডিসিআর মিলনায়তনে নিপাহ ভাইরাসবিষয়ক সচেতনতামূলক সভায় এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন।

তিনি বলেন, ‘দেশে চলতি বছর নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের বয়স ৩ থেকে ৩৮ বছরের মধ্যে। মৃতদের মধ্যে দুইজন মানিকগঞ্জের বাসিন্দা অপর তিনজন খুলনায়, শরীয়তপুর ও নওগাঁর।’

ডা. তাহমিনা শিরীন বলেন, বাংলাদেশে ২০০১ সাল থেকে ভাইরাসটির প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালে দেশের আট জায়গায় ১৩ জন আক্রান্ত হয়। বাংলাদেশে খেজুর রসের মাধ্যমে ভাইরাস ছড়ায়, এখানে মৃত্যু হার ৭১ শতাংশ।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার মাধ্যমে নিপাহ ভাইরাস থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায় উল্লেখ করে আইইডিসিআরের পরিচালক বলেন, এ ক্ষেত্রে খেজুরের রস প্রক্রিয়া করে খেলে সুরক্ষা পাওয়া সম্ভব।

দেশের ৩৪ জেলায় নিপাহ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ১২টি টার্শিয়ারি হাসপাতালে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্তদের পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে।

এ সময় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত রোগীদের প্রাথমিক লক্ষণ উল্লেখ করেন আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তির খেজুর রস খাওয়ার ইতিহাস থাকলে তিনি নিপাহতে সংক্রমিত হয়েছেন বলে ধরে নিতে হবে।

ডা. তাহমিনা শিরীন বলেন, ‘রস খাওয়ার আট দিনের মধ্যে নিপাহ ভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। মায়ের বুকের দুধের মাধ্যমে শিশু ভাইরাসটি সংক্রমিত হতে পারে। আক্রান্তদের নিউরোলজিক্যাল সমস্যা দেখা দেয়। দীর্ঘদিন এ সমস্যা থাকতে পারে।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ (ঢাবি) বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে রস উৎসব হচ্ছে। এতে কাঁচা রসের ব্যাপারে মানুষ আকৃষ্ট হচ্ছে। এতে করে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে, যা উদ্বেগের বিষয়।

খেজুর রস বিক্রি, বিশেষ করে বিদেশে রফতানি করার ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান আইইডিসিআর’র সহযোগী বিজ্ঞানী ও প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ডা. সৈয়দ মইনুদ্দিন সাত্তার। তিনি বলেন, কাঁচা রস রফতানি করা হলে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে।

এ সময় নিপাহ থেকে বাঁচতে খেজুরের রস খাওয়ার ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বনেরও পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, কাঁচা রস খাওয়া বন্ধে প্রয়োজনে প্রজ্ঞাপন দেওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি এ ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টিতে ইসলামসহ বিভিন্ন ধর্মীয় নেতাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

ডা. সৈয়দ মইনুদ্দিন সাত্তার বলেন, ১৫ মিনিটের মধ্যে নিপাহ ভাইরাস শনাক্ত করা সম্ভব হবে। আগামী বছরের মধ্যে এ প্রযুক্তি দেশের স্বাস্থ্যসেবায় যুক্ত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন আইইডিসিআর’র এই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা।

সারাবাংলা/এসবি/এসআর

নিপাহ ভাইরাস নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু

বিজ্ঞাপন

ফারদিন খানের ‘আহারে’
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:০৯

আরো

সম্পর্কিত খবর