হাইব্রিড মডেলেই হচ্ছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:২৭ | আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:৪২
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মাত্র দুই মাস বাকি থাকলেও ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বে ঝুলে ছিল টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ। পাকিস্তানে খেলতে যাবে না ভারত, এমন দাবির মুখে বারবার বৈঠকে বসেও সমাধানে আসতে পারছিল না আইসিসি। অবশেষে আইসিসি ঘোষণা দিয়েছে, এশিয়া কাপের মতো হাইব্রিড ফরম্যাটেই হবে আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। ভারত তাদের ম্যাচগুলো পাকিস্তানের বাইরের কোনো দেশে খেলবে।
এক যুগেরও বেশি সময় ধরে পাকিস্তানের মাটিতে খেলতে যায়নি ভারত। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে তো বটেই, আইসিসির টুর্নামেন্টেও ভারত সেখানে যেতে রাজি হয়নি। ভারতের আপত্তিতেই গত এশিয়া কাপ আয়োজন করা হয়েছিল হাইব্রিড মডেলে। এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক দেশ হিসেবে পাকিস্তানের নাম ঘোষণার পর থেকেই টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ নিয়ে জেগেছিল শঙ্কা।
গত মাসেই ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে আইসিসিকে জানিয়ে দিয়েছিল, তারা পাকিস্তানে খেলতে যাবে না। আয়োজক দেশ বদল কিংবা হাইব্রিড মডেলে আয়োজন, আইসিসিকে যেকোনো একটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি বিসিসিআই। পাকিস্তান অবশ্য বরাবরই হাইব্রিড মডেলের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
বেশ কয়েকবার এই ইস্যুতে বৈঠক করেও সমাধানে আসতে পারছিল না আইসিসি। দুই পক্ষ থেকেই নানা দাবি দাওয়াতে বিপাকে ছিল আইসিসি। অবশেষে আজ তারা ঘোষণা দিয়েছে, এশিয়া কাপের মতো চ্যাম্পিয়নস ট্রফিও হবে হাইব্রিড মডেলে। ভারত তার নিজেদের ম্যাচ খেলবে আরব আমিরাত কিংবা শ্রীলংকায়। ২০২৭ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত যেকোনো আইসিসি টুর্নামেন্টে ভারতের ম্যাচ হবে অন্য কোনো দেশে।
পাকিস্তান এ দাবিতে রাজি হয়েছে বেশ কিছু শর্তে। জানা গেছে, আগামী ৫ বছর ভারতে অনুষ্ঠিত আইসিসি টুর্নামেন্টে পাকিস্তান নিজেদের ম্যাচ খেলবে অন্য কোনো দেশে। ২০২৫ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০২৬ সালে ভারত ও শ্রীলংকায় অনুষ্ঠিত পুরুষদের টি-২০ বিশ্বকাপ ও ২০২৮ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত নারী টি-২০ বিশ্বকাপে প্রযোজ্য হবে এই নীতি।
আগামী বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়ার কথা চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। হাইব্রিড মডেল নিশ্চিতের পর ভেন্যু নিশ্চিত হলেই চূড়ান্ত করা হবে টুর্নামেন্টের সূচি।
সারাবাংলা/এফএম