চট্টগ্রাম ব্যুরো: বৈশ্বিক উষ্ণায়ন নিয়ে সচেতনতা তৈরি করতে দেশের ৬৪ জেলা সাইকেল নিয়ে ঘুরেছেন ছয় অদম্য তরুণ। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে ছয় জনের ওই দল চট্টগ্রাম এসে পৌঁছায়।
এদিন বিকেলে নগরীর ডিসি হিলে তাদের কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। এ সময় সেখানে আসা বিভিন্ন সাইক্লিং গ্রুপের সদস্য তাদের হাততালি দিয়ে অভিবাদন জানান।
‘স্টার্ট রেভুলেশন ব্যাক টু বাইক’ এ স্লোগানকে ধারণ করে গত ১৫ নভেম্বর রাতে চট্টগ্রাম শাহ আমানত সেতু থেকে তারা যাত্রা শুরু করেছিলেন। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) কক্সবাজার তাদের ভ্রমণ শেষ হয়। সেখানে দুদিন বিশ্রামের পর তারা চট্টগ্রাম এসে তাদের কর্মসূচি সমাপ্তির ঘোষণা দেন।
চট্টগ্রামকেন্দ্রিক ‘ইউনিয়ন সাইক্লিস্ট অব বাংলাদেশ’ নামে একটি সংগঠন এ কর্মসূচির উদ্যেগ নেয়।
‘ইউনিয়ন সাইক্লিস্ট অব বাংলাদেশ’র নেতৃত্বে থাকা শামীম মিশু সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ৬৪ জেলায় জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে মানুষকে সচেতন করেছি। আমরা চাই প্লাস্টিকের বর্জ্য ও পলিথিন বর্জন হোক, পাটের সুদিন ফিরে আসুক। আদমজী মিল আবার চালু করা হোক। কৃষক তার ন্যায্যমূল্য পাক, মধ্যস্বত্ব ভোগীদের দৌরাত্ম্য কমে আসুক। আমরা চাই পরিবশবান্ধব কলকারখানা ও মোটরগাড়ি ব্যবহার হোক। আমরা প্রত্যেকটি জেলায় গাছ লাগিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এ রাইডটি আমরা ফিলিস্তিনবাসীকে উৎসর্গ করেছি। আমরা ১৫ নভেম্বর রাতে তিন পার্বত্য দিয়ে ভ্রমণ শুরু করেছিলাম। বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, ফেনী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা হয়ে আমরা ঢাকা প্রবেশ করি। এর পর আমরা উত্তরবঙ্গ হয়ে দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করি। এরপর বরিশাল, চাঁদপুর হয়ে আমরা চট্টগ্রামে আজ দুপুরে ফিরেছি।’
শামীম মিশু বলেন, ‘আমাদের ৩০ দিনের মধ্যে ভ্রমণ শেষ হওয়ার কথা ছিল। আমাদের গ্রুপটি যেহেতু ১৬ ডিসেম্বর উদ্বোধন হয়েছিল তাই চেয়েছিলাম ওদিন আমরা রাইড শেষ করব। বরিশালের দিকে আমাদের সময় বেশি লেগেছে। ফেরি পাইনি। আমাদের তাই সময় বেশি লেগেছে।’
‘আমাদের ভ্রমণ শুরু হওয়ার সময় ১০ জন ছিলাম। আমাদের গ্রুপের ছয় জন আর অন্য গ্রুপের চার জন। কিন্তু ৩২ জেলা শেষ হওয়ার পর তারা আমাদের কিছু না বলে চলে যায়, যেটার জন্য আমরা খুবই কষ্ট পেয়েছি।’
দলে থাকা অন্য পাঁচ সদস্য হলেন- মিউ নাই মং, বোরহান উদ্দিন রাফি, রাকিবুল হাসান, অর্ণব কুমার রায় ও সাগর নাথ।