ইজতেমা হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ দ্রুত তদন্ত ও ৭ কর্মদিবসের মধ্যে বিচার দাবি
২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৪:০১ | আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:৩৪
ঢাবি : টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে হামলা ও হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ দ্রুত তদন্ত এবং ৭ কর্মদিবসের মধ্যে বিচার নিশ্চিত করাসহ চার দফা দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
রোববার (২২ই ডিসেম্বর) ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
অন্যান্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইতোপূর্বে যেসকল চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও তাদের হুকুমদাতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে, সেসকল এজাহারভুক্ত আসামীদের আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে গ্রেফতার করা; বিগত সরকারের প্রশাসনের মদদপুষ্ট এই সাদপন্থীদের ২০১৮ সালে টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে হামলা ও হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের শাস্তি প্রদান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিচয়ে গঠিত ‘সচেতন ছাত্র সমাজ’ এর সদস্যদের অবিলম্বে জবাবদিহিতার আওতায় আনা।
সংবাদ সম্মেলনে এক শিক্ষার্থী বলেন, গত ১৭ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে ঘুমন্ত নিরীহ আলেম-ওলামা ও সাধারণ মুসল্লিদের উপর বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলা ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীদের নেতৃত্বে সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্তৃক সংঘটিত এ হামলায় অন্তত চারজন নিহত এবং শতাধিক মুসল্লি গুরুতর আহত হয়েছেন। এবারের এই হামলা ও হত্যাকাণ্ড গত ২০১৮ সালে একই স্থানে সাদপন্থীদের হামলা ও হত্যাকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি মাত্র। তৎকালীন সরকারের সাথে সাদপন্থীদের ঘনিষ্ঠতার কারণে ২০১৮ সালের সেই হামলার বিচার তো দূরের কথা, কোন তদন্তও হয় নি। এ সকল সহিংস কার্যকলাপ শুধু ধর্মীয় পরিবেশকেই ক্ষতিগ্রস্ত করেনি, বরং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের উপরেও গুরুতর প্রভাব ফেলেছে। এমন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি আমাদের সামাজিক ঐক্য ও ধর্মীয় সম্প্রীতির পরিপন্থী।
তিনি বলেন, মধ্যরাতের এই তাণ্ডবের আগের দিন ‘সচেতন ছাত্র সমাজ’ নামে একটি ভূঁইফোড় সংগঠন নিজেদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দাবি করে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন প্রাঙ্গণে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করে। পাশাপাশি, সাদ কান্ধলভীকে কেন্দ্র করে তাদের পেশ করা সকল দাবি রাতের মধ্যেই মেনে নেয়ার আল্টিমেটাম দেয়। আর ওই রাতেই টঙ্গীতে বর্বরোচিত হামলা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। আমরা আশঙ্কা করছি যে, ১৭ ডিসেম্বর রাতের হামলার পেছনে উল্লেখিত সংগঠনটির সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে।
‘সচেতন ছাত্র সমাজ’ এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিচার দাবি করে তিনি বলেন, এদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে তাদের জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসতে হবে এবং ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের অপতৎপরতার পুনরাবৃত্তি করতে না পারে, সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কোন সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সমর্থক ও মদদদাতা, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। আমরা এই ক্যাম্পাসকে একটি নিরাপদ ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
সারাবাংলা/এআইএন/আরএস