‘নাগরিকদের আবাসনের স্বপ্ন পূরণে কাজ করছে রিহ্যাব’
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:২৮
ঢাকা: দেশের নাগরিকদের আবাসনের স্বপ্ন পূরণে রিহ্যাব কাজ করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল অ্যাস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) এর সভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামান।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) রিহ্যাব আয়োজিত পাঁচ দিনব্যাপী আবাসন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
রিহ্যাব সভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন রাজউক চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল মো. ছিদ্দিকুর রহমান, সেনা কল্যাণ সংস্থার চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, রিহ্যাব সিনিয়র সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী ভূইয়া, সহ-সভাপতি ও মেলা কমিটির চেয়ারম্যান আক্তার বিশ্বাস, কমিটির কো-চেয়ারম্যান মিরাজ মুক্তাদির প্রমুখ।
রিহ্যাব সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘অর্থনৈতিক অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ভালো জায়গায় সুন্দর একটি ফ্ল্যাট নিয়ে থাকার আগ্রহ থাকে। আমরা নাগরিকদের সেই স্বপ্নপূরণে কাজ করে যাচ্ছি। রিহ্যাব এবং ক্রেতাদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতে প্রতিবছর এই মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’
অনুষ্ঠানে রিহ্যাব মেলা কমিটির চেয়ারম্যান আক্তার বিশ্বাস বলেন, ‘এই মুহূর্তে যা আমাদের জন্য বড় সংকট তৈরি করেছে ড্যাপের ফ্লোর এরিয়া রেশিও হ্রাস। জিডিপিতে ১৫ শতাংশ অবদান রাখা আবাসনশিল্প আজ অনেকটা হুমকির মুখে। তাই ড্যাপ দ্রুত সংশোধন করা জরুরি।’
রিহ্যাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট লিয়াকত আলী বলেন, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে একজন নাগরিকের পক্ষে হাউজিং লোন ছাড়া ফ্ল্যাট বা প্লট কেনা প্রায় অসম্ভব। পরিকল্পিত ও আধুনিক বাসস্থান তৈরিতে গৃহঋণের অবদান অনস্বীকার্য। ক্রেতারা যাতে খুব সহজে এই ঋণ পেতে পারে সেই উদ্যোগ নিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, ‘ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় (ড্যাপে) নির্মাণ বিধিমালা নিয়ে জটিলতা আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সমাধান করা হবে। রাজধানীর আশপাশের শহরগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করে ঢাকার ওপর চাপ কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।’
বিআইসিসিতে শুরু হওয়া এই আবাসন মেলা চলবে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এবারের মেলায় বিভিন্ন আবাসন কোম্পানির পাশাপাশি বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস ও অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানও অংশ নিয়েছে। রিহ্যাব ফেয়ার ২০২৪-এ ২২০টি স্টল রয়েছে। এই ফেয়ারে ৫টি গোল্ড স্পন্সর, ১৮টি কো-স্পন্সর, ১৮টি বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস ও ১০ অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানকে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ক্রেতা-দর্শনার্থীরা মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন। মেলায় প্রবেশে সিঙ্গেল এন্ট্রি টিকিটের প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা। আর মাল্টিপল এন্ট্রি টিকিটের মূল্য ধরা হয়েছে ১০০ টাকা। মাল্টিপল এন্ট্রি টিকিট দিয়ে একজন দর্শনার্থী মেলা চলাকালীন পাঁচ বার প্রবেশ করতে পারবেন। এন্ট্রি টিকিটের সম্পূর্ণ অর্থ দুঃস্থদের জন্য করপোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটির কাজে ব্যয় করা হবে। টিকিটের রাফেল ড্রতেও রয়েছে আকর্ষণীয় পুরস্কার।
সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম