‘আগে ছিল আওয়ামী নিপীড়ন এখন চলছে বিএনপির নির্যাতন’
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:৩৫ | আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ০০:৩৯
ঢাকা: ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, দেশের মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে। ৫ আগস্টের আগে সাধারণ মানুষ আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের নিপীড়নে শিকার হত। আর এখন স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় বিএনপি নেতাদের দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছে। আগে ছিল আওয়ামী নিপীড়ন, এখন চলছে বিএনপির নির্যাতন।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘গতকাল বরগুনা জেলা ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র সহ-সভাপতির প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ৩০ শতাংশ কমিশন দাবি করেছে বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বরগুনা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রেজবুল কবিরের ভাই। এই ঘটনা ফেসবুকে লেখার কারণে রেজবুল কবির তার ভাইয়ের দোষ-ত্রুটি না দেখে উলটো ইসলামী আন্দোলনের নেতার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা এবং হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, বিএনপি নেতার পক্ষ নিয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও ইসলামী আন্দোলনের নেতাকে হুমকি দিয়েছে।’
বরগুনা সদর থানা ওসিকে দ্রুত প্রত্যাহার এবং হুমকিদাতা বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে দলীয় ও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের উঁচু থেকে নিচু পর্যন্ত লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করা সম্ভব না হলে নির্বাচনের পরিবেশ তো দূরের কথা স্বাভাবিক জীবন-যাপন এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কঠিন হবে। চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ ও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম আরও বৃদ্ধি পাবে। কালো টাকার ছড়াছড়ি ব্যাপক হবে। আগামী নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়ার আশা মাঠে মারা যাবে।’
চৌদ্দগ্রামে মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা পরানোর ঘটনা ক্ষোভ প্রকাশ করে ফয়জুল করীম বলেন, ‘ঐ মুক্তিযোদ্ধা যদি কোনো অপরাধ করে থাকেন, তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা যেত। সেটি না করে গলায় জুতার মালা পরানোর ঘটনা কোনোভাবেই সমর্থন যোগ্য নয়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদেরকে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে।’
চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে এমভি আল-বাখেরা জাহাজে সাতজনকে গলাকেটে ও মাথা থেতলে হত্যা করার ঘটনায় শোক প্রকাশ করার পাশাপাশি এ ঘটনার কারণ উদঘাটন করে জড়িতদের কঠিন শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ইউসুফ আহমদ মানসুরের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ মুনতাসির আহমদ, সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
সারাবাংলা/এজেড/ এইচআই