চ্যাম্পিয়নস ট্রফি
কেন হাইব্রিড মডেল মানতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান?
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:০৮ | আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১:৩৭
আয়োজক দেশ হিসেবে নাম ঘোষণার পর থেকে টুর্নামেন্ট আয়োজনের চেয়ে ভারত ইস্যুই বেশি মাথাব্যথার কারণ ছিল তাদের। শেষ পর্যন্ত দুই পক্ষের দর কষাকষিতে জয় হয়েছে ভারতের। এশিয়া কাপের মতো হাইব্রিড মডেলেই হচ্ছে আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। টুর্নামেন্টের সূচি ঘোষণার পর পিসিবি বলছে, দুই পক্ষের সমঝোতার মাধ্যমে এই মডেল বেছে নেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না তাদের সামনে।
গত মাসে বিসিসিআই আইসিসিকে সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, তারা পাকিস্তানে খেলতে যাবে না। হয় পুরো টুর্নামেন্ট সরিয়ে নিতে হবে নাহলে হাইব্রিড মডেলে আয়োজন করতে হবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, ভারতের দাবি ছিল এটাই। শুরুতে হাইব্রিড মডেলে রাজি না হলেও শেষে গিয়ে নিজেদের অবস্থান আর ধরে রাখতে পারেনি পিসিবি। ভারতের ম্যাচগুলো দুবাইতে রেখেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করতে রাজি হয়েছে পাকিস্তান।
পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি বলছেন, দুই পক্ষের সমঝোতার মাধ্যমেই ঠিক করা হয়েচ্ছে হাইব্রিড মডেল, ‘দুই পক্ষের মাঝে যে চুক্তি হয়েছে সেটায় আমরা খুশি। আমরা ক্রিকেটের মূল্যবোধকে আঘাত হানতে চাই না। সবার সাথে মিলেই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চাই।’
পাকিস্তানের মাটিতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করতে পারা দেশটির জন্য গর্বের বিষয় বলেই জানালেন নাকভি, ‘ক্রিকেটকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের মাটিতে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারা আমাদের জন্য বড় ব্যাপার। সব দলকে আমরা সাদরে আমন্ত্রণ জানাই। আশা করি দারুণ একটি টুর্নামেন্ট হবে।’
আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি করাচিতে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড।
সারাবাংলা/এফএম