মোংলায় সুপেয় পানির অভাবে ডায়রিয়ার প্রকোপ, ৫০ জন হাসপাতালে ভর্তি
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:৫৯ | আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:০৫
বাগেরহাট: বাগেরহাটের মোংলায় বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। সুপেয় পানির অভাবে উপকূলীয় এ জনপদে ডায়রিয়া দেখা দিয়েছে। বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অন্তত ৫০ জন ভর্তি হয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন অনেকেই। ডায়রিয়া রোগীর চাপ বাড়ায় ৫০ শয্যার এ হাসপাতালে শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে হাসপাতালের মেঝেতে রেখে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অন্তত ৫০ জন ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে শিশু ও বয়স্করা বেশি। আক্রান্তদের পাতলা পায়খানার সঙ্গে পেটে ব্যথা ও বমির মত উপসর্গ রয়েছে। তাদের চিকিৎসাসেবায় চিকিৎসক ও নার্সরা বাড়তি চাপে রয়েছেন। হাসপাতালে শয্যা সংকটের কারণে মেঝেতে রেখে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগী মানিকের (১৪) মা আমেনা বেগম বলেন, তার ছেলের ভোর রাত থেকে পেটে ব্যথা ও বমির পাশাপাশি পাতলা পায়খানা। এমন পরিস্থিতিতে সকালে ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তি পর কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মেঝেতে চিকিৎসা নেওয়া মো. ইদ্রিস জানান, রাতে পাতলা পায়খানা, পেটে ব্যথা ও বমি শুরু হয়। সকালে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
দেলোয়ার হোসেন বলেন, মঙ্গলবার রাত থেকে ডায়রিয়া শুরু হলে স্যালাইন-ওষুধ খেয়েও সুস্থ্য না হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. বুলেট সেন বলেন, সুপেয় বিশুদ্ধ পানির অভাবে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ডায়রিয়া এড়াতে সবাইকে খাবার পানি ফুটিয়ে পান করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহীন জানান, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার এক-দুইদিন পর হাসপাতালে আসেন রোগীরা। ভর্তি হওয়ার পরেও অনেকেরই শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি। তবে তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, উপকূলীয় মোংলায় দীর্ঘদিনের সমস্যা সুপেয় পানির। নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে প্রতিনিয়তই পেটের পীড়ায় আক্রান্ত থাকেন এখানকার মানুষ। নিরাপদ পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে আসছেন এ উপকূলের বাসিন্দারা।
সারাবাংলা/এসআর