বড়দিনে গাজার খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রার্থনায় যুদ্ধের অবসান
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯:৪১ | আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:১৫
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বড়দিন এসেছে ফিলিস্তিনের গাজা শহরেও। তবে অন্য সব শহর যখন বড়দিনের আনন্দ উদ্যাপনে বর্ণিল, গাজা তখনো বিষণ্ন। দিনের পর দিন ধরে চলা যুদ্ধে বিধ্বস্ত এই শহরের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রার্থনা তাই একটিই— যুদ্ধের অবসান।
বড়দিন উপলক্ষ্যে গাজার খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী বাসিন্দারা মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) জড়ো হয়েছিলেন শহরের একটি গির্জায়। সেখানেই তারা দীর্ঘ দিন ধরে চলমান যুদ্ধের অবসানের জন্য প্রার্থনা করেছেন।
গাজা শহরে ক্রিসমাস তথা বড়দিনের আয়োজন ছিল জমজমাট। ঝলমলে আলো, উৎসবমুখর সাজসজ্জা আর বিশাল বিশাল ক্রিসমাস ট্রিতে সাজত এই শহর। কিন্তু ইসরাইলের অব্যাহত হামলার মুখে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের বেশির ভাগ অংশই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
রেহাই পায়নিও গাজাও। ইসরায়েলি আগ্রাসনের দাপটে তাই বদলে গেছে গাজার বড়দিনের আয়োজন। সেখানে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এই উৎসবও বিবর্ণ হয়ে পড়েছে। এমনকি বড়দিনের ঠিক আগের দিনও গাজায় ইসরাইলের হামলা অব্যাহত ছিল।
সেন্ট পোরফিরিয়াসের ১২ শতকের গ্রিক অর্থোডক্স চার্চে আশ্রয় নেওয়া জর্জ আল-সায়েগ বলেন, ‘এই ক্রিসমাস (বড়দিন) মৃত্যু ও ধ্বংসের দুর্গন্ধ বহন করে। কোনো আনন্দ নেই, উৎসবের চেতনা নেই। পরের ছুটি পর্যন্ত কে বাঁচব, তাও আমরা জানি না।’
গাজায় প্রায় ১১ শ খ্রিষ্টান বাস করেন। অঞ্চলটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য, গত বছরের অক্টোবরে ইসরাইলি বিমান হামলায় গির্জা ধ্বংস হয়, যেখানে ১৮ ফিলিস্তিনি খ্রিষ্টান নিহত হয়েছিলেন।
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের নাগরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার তথ্য বলছে, ইসরাইলের সাম্প্রতিক বিমান হামলায় অনেক শিশু নিহত হয়েছে। পোপ ফ্রান্সিস এসব হামলার কঠোর সমালোচনা করেছেন।
রোববার সাপ্তাহিক অ্যাঞ্জেলাস প্রার্থনার পর পোপ বলেছেন, ‘আমি গভীর বেদনার সঙ্গে গাজার নিষ্ঠুরতার কথা, শিশুদের মেশিনগানের শিকার হওয়ার কথা, স্কুল ও হাসপাতালে বোমা হামলার কথা ভাবি। এ কী চরম নিষ্ঠুরতা!’
পোপ ফ্রান্সিসের কঠোর নিন্দায় অবশ্য ভাগ্য বদল হচ্ছে না গাজার অধিবাসী কোনো ধর্মাবলম্বীদের। দিনের পর দিন সেখানে সব উৎসবের দিনই উলটো বিষাদ হয়ে হাজির হচ্ছে।
সারাবাংলা/এসডব্লিউ