Wednesday 01 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা স্বীকার করে ভোক্তা ডিজির দুঃখ প্রকাশ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:৫৫ | আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:৩৭

রোববার রাজশাহীতে বিভাগীয় ভোক্তা অধিকার সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান। ছবি: পিআইডি

রাজশাহী: আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে নিজের ব্যর্থতা স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান।

তিনি বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পুরনো সংস্কৃতি পরিবর্তন হয়নি। আলুর চাহিদা ও উৎপাদন সংক্রান্ত কৃষি সম্প্রসারণ, কৃষি বিপণন ও কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের দেওয়া তথ্যে মিল নেই। অথচ তাদের গুরুত্বপূর্ণ সেই তথ্যের ওপর নির্ভর করে ওই পণ্য আমদানি করা হবে কি না।’

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহী জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত বিভাগীয় ভোক্তা অধিকার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সম্মেলনটি আয়োজন করে কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) রাজশাহী বিভাগ।

মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেন, সংকটকালে সংকটের কথা জানলে সংকট দূর হবে না। সংকট দূর করতে চার মাসে আগে তথ্যের প্রয়োজন হয়। আমদানি করা পণ্য সঠিক সময়ে পৌঁছালে আসন্ন রমজানে আর নিত্যপণ্যের ঘাটতি হবে না।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, ‘একই পণ্য নিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আলাদা আলাদা বিভাগ আলাদা রকমের প্রতিবেদন দেওয়ার কারণে দেশীয় উৎপাদনের সঠিক হিসাব পাওয়া যায় না। তখন আমদানিও ঠিকমতো হয় না। এর ফলে বাজারে পণ্যের সংকট হয় এবং দাম বেড়ে যায়।’

আলীম আখতার খান আরও বলেন, ‘খাদ্যের সংকট তখনই হয় যখন চাহিদা ও সরবরাহের ভারসাম্য থাকে না। আলু নিয়ে দেখেছি, কৃষির তিনটি বিভাগ তিন ধরনের তথ্য দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ে একটা আলোচনায় দেখেছি, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর যে প্রতিবেদন দিয়েছে তার সঙ্গে কৃষি বিপণনের তথ্যের মিল নেই। এই দুটি অধিদফতরের সঙ্গে আবার কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের তথ্যের মিল নেই। এটা দিয়েছে ঢাকার এসবি অফিস। যদি বিষয়টি এমনই হয়, তাহলে আমরা বিপদে আছি।’

বিজ্ঞাপন

রাজশাহীর জেলা প্রশাসকের উদ্দেশে ভোক্তা অধিকারের ডিজি বলেন, “আপনার জেলায় কৃষি বিভাগকে বলুন, ‘আমি একটা রিপোর্ট চাই। এর ওপর আমরা রাজশাহী বিশ্বাস করব, অন্য রিপোর্ট চাই না।’ কৃষি মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে, আপনারা একটি অভিন্ন প্রতিবেদন দিন, যেন আমরা এলসি খুলতে পারি। এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই আমদানি হবে।”

তিনি বলেন, ‘কোনো পণ্য বিদেশ বা ইউরোপ-আমেরিকা থেকে আনতে গড়ে দুই-তিন মাস সময় লাগে। তাহলে আমরা চার-পাঁচ মাস আগে জানতে পারলে ওই পণ্য আমদানি করতে পারব। ক্রাইসিস মেমোন্টে জানলে ক্রাইসিস দূর হবে না। আমরা বর্তমানে সেই অবস্থায় পড়েছি।’

সম্মেলনে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ, জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার, ক্যাবের কেন্দ্রীয় সভাপতি জামিল চৌধুরী, রাজশাহী জেলার সভাপতি লিয়াকত আলী, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুনসহ স্থানীয় অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/টিআর

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ভোক্তা অধিকার মোহাম্মদ আলীম আখতার খান রাজশাহী

বিজ্ঞাপন

এক বছরে ১৪ নাটক
১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:০৩

আরো

সম্পর্কিত খবর