‘২০২৪ মাইলফলক হয়ে থাকবে’
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২:৩৮ | আপডেট: ১ জানুয়ারি ২০২৫ ০২:১৯
ঢাকা: ২০২৪ বাঙালি জাতির জীবনে মাইল ফলক হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।
ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলনের আমির এ মন্তব্য করেন।
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, ‘আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আর আমি এ দিনগুলোকে মানুষের মধ্যে পালাক্রমে আবর্তন ঘটিয়ে থাকি’ (আলে ইমরান-১৪০)। সময়ের আবর্তনে ধনী গরীব হয়, গরীব ধনী হয়। ২০২৪ সালে মহান আল্লাহর এই আয়াতের বাস্তব দৃষ্টান্ত আমরা দেখেছি। যে প্রতাপশালী স্বৈরাচার বিগত ১৫ বছরের সকল আন্দোলনকে প্রতিহত করে জুলুমশাহী অক্ষত রেখেছিল, সে ২০২৪ সালে মাত্র দেড় মাসের আন্দোলনে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘২০২৪ সাল বাংলাদেশের ইতিহাসে অক্ষয় ও অমর হয়ে থাকবে। এই জাতির আজন্ম মুক্তিকামী চরিত্রের আরেকটি উজ্জল মাইল ফলক হয়ে থাকবে ২০২৪। তবে, বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে ২০২৪ সাল উজ্বল আলোকবর্তিকা হলেও বিশ্বের প্রেক্ষিতে তা কলংকময় সময় হিসেবে বিবেচিত হবে। বছর জুড়ে ইজরায়েলি হায়েনারা যেভাবে গণহত্যা চালিয়েছে তার নজির ইতিহাসে নাই। শত কোটি মানুষের চোখের সামনে সংঘটিত এই নারকীয় গণহত্যার জন্য ২০২৪ সাল ইতিহাসে বারবার আলোচিত হবে। যদিও সিরিয়ার মানুষের মুক্তি একটি ইতিবাচক দিক হয়ে থাকবে। সব মিলিয়ে ২০২৪ সাল একটি স্বরণীয় বছর হয়ে থাকবে।’
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, ‘২০২৪ সালে দেশ গঠনের যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তার যথার্থ ব্যবহার যেন আমরা করতে পারি। সুযোগ বারবার আসে না। সময় সর্বদা পক্ষে থাকে না। এখন সময় জনতার পক্ষে। রাষ্ট্র নির্মাণ, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্ত আইন ও রীতির ওপরে প্রতিষ্ঠা, রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বিচার বিশ্লেষণ করে নতুন ও শুদ্ধ বন্দোবস্ত কায়েম করা এবং সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার যে সম্ভাবনা ও সুযোগ তৈরি হয়েছে তা যেন কোনোভাবে নষ্ট না হয়, কেউ যেন তা নষ্ট করতে না পারে সেজন্য জনতাকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’
‘একইসঙ্গে সময় গণনার এই নতুন অধ্যায়ের শুরুতে সকলের প্রতি আহ্বান করব যে, আসুন, নিজের বিচার নিজে করি। নিজের ভুল-ভ্রান্তি নিয়ে তওবা করি এবং আগামী দিনগুলো যেন মহান আল্লাহর নির্দেশিত পথে কাটাতে পারি সেই প্রতিজ্ঞা করি’— বলেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।
তিনি বলেন, ‘নতুন বছরের শুরুতে আনন্দ উদযাপনের নামে পশ্চিমা অপসংস্কৃতির কিছু চর্চা দেখা যায়। এটা থেকে বিরত থাকার আহ্বান করছি। আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রয়েছে। যা ইসলাম বিধৌত ও সুন্দর-শালীন। সেখানে পশ্চিমা উগ্র, উশৃঙ্খল সংস্কৃতি চর্চা করা আমাদের জন্য শোভনীয় না। সকল পঙ্কিলতা দূর হয়ে শুভ্র-সুন্দর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণের কাল হয়ে উঠুক ২০২৫ সাল।’
সারাবাংলা/এজেড/এইচআই