‘সেবা পাওয়া জনগণের অধিকার’
৫ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:২৪ | আপডেট: ৫ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৫০
ঢাকা: ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেছেন, সেবা পাওয়া জনগণের অধিকার, পুলিশ জনগণকে সেবা দিতে বাধ্য। কাঙ্ক্ষিত মাত্রার সেবা পেতে পুলিশকে সহযোগিতা করুন।
রোববার (৫ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর শাহজাহানপুরের মাহবুব আলী মিলনায়তনে শাহজাহানপুর থানা এলাকার সম্মানিত নাগরিকদের সমন্বয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘৩৬ জুলাই তথা ৫ আগস্ট বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। বৈষম্য থেকে উত্তরণের জন্য একটি সুযোগ সৃষ্টি তৈরি করেছে আমাদের তরুণ সমাজ। জুলাই আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছে তাদের স্বপ্নগুলো আমাদেরকে বাস্তবায়ন করতে হবে। নতুন পুলিশ, নতুন আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থা, নতুন রাজনীতি তথা সর্বোপরি একটা নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।’
তিনি বলেন, প্রত্যেক নাগরিককে তার নিজের অবস্থানে থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রত্যেক পরিবারে পিতা-মাতাকে নিজ নিজ সন্তানদের সুনাগরিক ও ভালোমানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। প্রত্যেককে নিশ্চিত করতে হবে যে, আমি আইন ভাঙ্গব না এবং নিজের অধীনস্থ ও পরিবারের সদস্যদের আইন না ভাঙ্গার প্রতি উদ্ভুদ্ধ করব। তাহলে একটি অপরাধমুক্ত সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে সকলকে আইন মান্য করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি মো. মোরশেদুল ইসলাম বলেন, ‘হাজারো শহিদ ও আহতদের রক্তের দিকে তাকিয়ে আমাদেরকে পারস্পরিক মতভেদ ভুলে যেতে হবে। ৩৬ জুলাই তথা ৫ আগস্টের চেতনাকে ধারণ করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি বৈষম্যহীন দেশ গড়ে তুলতে হবে।’
শাহজাহানপুর থানার বিশিষ্ট নাগরিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে পুলিশকে দেখতে চাই। দেখতে চাই পুলিশ জনগণের পাশে দাঁড়াচ্ছে। পুলিশকে অবশ্যই “দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালন” নীতি মেনে চলতে হবে।’
সমাজকর্মী নাহিদ জামান বলেন, ‘শাহজাহানপুর থানা এলাকা থেকে মাদক, ছিনতাই ও চাঁদাবাজিসহ অন্যান্য অপরাধ নির্মূল করতে হবে। একাজে এলাকাবাসী হিসেবে আমরা পুলিশকে তথ্য দিয়ে সবসময় পাশে থাকবো।’
মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শাহরিয়ার আলীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় মতিঝিল বিভাগের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/ইউজে/এমপি