ডিসেম্বরে কমলেও ২ অঙ্কের মূল্যস্ফীতিতে বছর শেষ
৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:২৬ | আপডেট: ৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:১১
ঢাকা: ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফীতির পারদ নিচের দিকে নেমেছে। তবে পারদ নামলেও মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘরে রেখেই শেষ হলো বছর। সদ্য সমাপ্ত পঞ্জিকা বছরের শেষ মাস ডিসেম্বর শেষে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার কমে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ। গত নভেম্বরে এ হার ছিল ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। তবে বছর শেষে মূল্যস্ফীতির হার কমলেও তা এর আগের পঞ্জিকা বছরের তুলনায় বেশি। গত ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
বিবিএস জানায়, গত ডিসেম্বর শেষে খাদ্যপণ্যের পাশাপাশি খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতিও কমেছে। এর মধ্যে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি নভেম্বরের ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ১২ দশমিক ৯২ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের ক্ষেত্রে এ হার নভেম্বরের ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ থেকে সামান্য কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ২৬ শতাংশ।
বিবিএস জানায়, ডিসেম্বর শেষে গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক শূণ্য ৯ শতাংশে, যা গত নভেম্বরে ছিল ১১ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এর মধ্যে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ১৩ দশমিক ৪১ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৬৩ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
বিবিএস জানিয়েছে, অন্যদিকে ডিসেম্বর শেষে শহরাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ, যা গত নভেম্বরে ছিল ১১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এর মধ্যে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ১৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ।
উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই শেষে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। আগস্টে তা কিছুটা কমে দাঁড়ায় ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশে। সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতির হার সামান্য কমেছিল। এ মাসে ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ।
অক্টোবরে ফের মূল্যস্ফীতি বেড়ে যায়। এ মাসের শেষে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। নভেম্বরে এটি আরও বেড়ে দাঁড়ায় ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশে।
সারাবাংলা/জেজে/এইচআই/টিআর