প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ পয়সায়
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:২৩ | আপডেট: ৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৩০
নওগাঁ: নওগাঁয় সব ধরনের শীতকালীন সবজির দাম কমেছে। তবে বেশি ধস নেমেছে ফুলকপির দামে। প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৫০ পয়সা থেকে ২ টাকায়। চাহিদা না থাকায় দামের এমন অবস্থা। এ পরিস্থিতিতে ফুলকপি উৎপাদন করে হতাশ কৃষক।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকালে নওগাঁর সবজি বাজার ডাক্তারের মোড়ে গিয়ে দেখা যায় ভোর থেকে কৃষকরা ফুলকপি বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন। কিন্তু ফুলকপি বিক্রি করতে এসেই তাদের পড়তে হয়েছে বিপাকে। প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি করতে হচ্ছে মাত্র আট আনায় (৫০ পয়সা)। সস্তায় বিক্রি হলেও ফুলকপির ক্রেতা নেই হাটে।
গত বছর ফুলকপির ভালো দাম পেয়েছেন কৃষকরা। সে আশায় এবারও আবাদ করেছেন। ফলনও হয়েছে ভালো। কিন্তু হাটে উঠাতেই দাম নেই। সবজির দামে ভোক্তারা স্বস্তি পেলেও স্থানীয় কৃষকদের চোখে-মুখে বিষাদের ছাপ।
কৃষকরা বলছেন, উৎপাদিত ফুলকপি বিক্রি করে তাদের খরচের টাকাও উঠবেনা। ধারদেনা করে আবাদ করা ফুলকপি নিয়ে তারা এখন বিপাকে। খরচের টাকা তুলতে না পেরে তাদের এখন পথে বসার উপক্রম।
ফুলকপি বিক্রি করতে আসা কৃষক আলতাফ বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করতে ১৭ থেকে ১৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন ফুলকপির পিস ৫০ পয়সা থেকে ২ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। তাও ক্রেতা নেই। এক বিঘা জমির ফুলকপি আড়াই হাজার টাকাও বিক্রি করা যাচ্ছে না।’
কৃষক সিরাজুল হক বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করে হতাশ তিনি। প্রতি পিস ফুলকপি উৎপাদনে তার খরচ পড়েছে ৮ টাকা। তাকে বিক্রি করতে হচ্ছে- আট আনায় থেকে এক টাকায়। বিক্রি করে পরিবহন খরচ উঠছেনা। এমন পরিস্থিতিতে ফুলকপি গরুকে খাওয়ানো ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
হাটে আসা ক্রেতারা বলছেন, ‘মৌসুমের শুরুতে উৎপাদন ছিল কম, চাহিদা ছিল বেশি। যে কারণে দামও ছিল বেশ চড়া। ভরা মৌসুমে উৎপাদন বেশি হওয়ায় দামে ধস নেমেছে।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, জেলায় ৬০০ হেক্টর জমিতে ফুলকপির আবাদ হয়েছে। যা থেকে প্রায় ৬ হাজার ২০০ টন ফুলকপি উৎপাদনের সম্ভবনা রয়েছে।
সারাবাংলা/এসআর