Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রামে পিপি অফিস থেকে উধাও মামলার নথি মিলল ভাঙারি দোকানে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:২৯ | আপডেট: ৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:৫৯

কোতোয়ালী থানা

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম আদালতে সরকারি আইন কর্মকর্তার (মহানগর পিপি) কার্যালয় থেকে উধাও হওয়া মামলার নথিপত্রগুলো উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ওসব নথিপত্র পরিত্যক্ত মনে করে আদালতের এক চা-দোকানের কর্মচারী সেগুলো ভাঙারি দোকানে বিক্রি করে দিয়েছিল।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে কোতোয়ালী থানার পাথরঘাটা এলাকার এক ভাঙারি দোকানের গুদাম থেকে প্রায় নয় বস্তা নথি উদ্ধার করা হয়।

তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতার গ্রেফতার ব্যক্তির নাম জানায়নি পুলিশ।

কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল করিম সারাবাংলাকে বলেন, ‘আদালত থেকে নথিপত্র চুরির ঘটনার পর থেকেই সেগুলো উদ্ধার করতে আমরা অভিযান চালিয়ে যাচ্ছিলাম। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ একটি ভাঙারি দোকান থেকে ওসব নথিপত্র উদ্ধার করে।’

‘এ সময় আমরা একজনকে গ্রেফতার করেছি। সে ওখানে একটি চা দোকানে কাজ করে। আদালতে পিপি অফিসের সামনে পড়ে থাকা নথিপত্রগুলো সে নিয়ে ভাঙারি দোকানে বিক্রি করেছে। কিছু নথিপত্র উদ্ধার করেছি। বাকি নথিপত্র উদ্ধার করতে আমরা তাকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করছি। তদন্তের স্বার্থে তার নাম এখন বলতে পারছি না।’

চট্টগ্রাম আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় মহানগর পিপি মফিজুল হক ভূঁইয়ার কার্যালয় থেকে এক হাজার ৯১১টি মামলার নথি (কেস ডকেট বা সিডি) উধাওয়ের ঘটনা গত রোববার (৫ জানুয়ারি) জানাজানি হয়। এরপর পিপি নগরীর কোতোয়ালী থানায় এ সংক্রান্তে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

জিডিতে তিনি উল্লেখ করেছিলেন, হত্যা, মাদক, চোরাচালান, অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ প্রায় এক হাজার ৯১১টি মামলার নথি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মহানগর পিপির এখতিয়ারে থাকা অন্তত ৩০টি আদালতে চলমান মামলার নথি এগুলো।

বিজ্ঞাপন

বিষয়টি অবগত হয়ে প্রধান বিচারপতি হাইকোর্টের একজন বিচারপতিকে বিষয়টি তদন্তের আদেশ দেন। বিচারপতি তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের কোনো এজলাস বা চেম্বার থেকে কোনো ফৌজদারি মামলার নথি চুরি হয়নি। সংবাদপত্রে যে এক হাজার ৯১১টি কেস ডকেট চুরির বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলো চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটরের কার্যালয়ের বারান্দা থেকে চুরি হয়েছে।

কেইস ডকেটগুলি ছিল ২০১৫ সালের আগের ফৌজদারি মামলা সংক্রান্ত। বেশিরভাগ মামলা এর মধ্যে নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। এছাড়া ফৌজদারি যে কোনো মামলার কেস ডকেটের একটি কপি সংশ্লিষ্ট সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংরক্ষিত থাকে। এর ফলে আদালতে বিচারাধীন কোনো ফৌজদারি মামলা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।

সারাবাংলা/আইসি/ইআ

চট্টগ্রাম আদালত নথি 'উধাও'