নিজের অভিষেক সিরিজেই প্রতিপক্ষের সাথে তর্কে জড়িয়ে আলোচনায় ছিলেন তিনি। ভারতের বিরাট কোহলি ও জাসপ্রীত বুমরাহর সাথে সিরিজের শেষ দুই টেস্টে কয়েকবার তর্কে জড়িয়েছেন তরুণ অজি ওপেনার স্যাম কনস্টাস। সিরিজ শেষে কনস্টাস বলছেন, বুমরাহর সাথে তর্কে জড়িয়ে অনেক কিছুই শিখেছেন তিনি।
সিডনি টেস্টের প্রথম দিনের শেষ মুহূর্তে উসমান খাজার সাথে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন বুমরাহ। সেই সময় নন স্ট্রাইকে থাকা কনস্টাস বুমরাহকে উদ্দেশ্য করে কিছু বললে তার দিকে তেড়েফুঁড়ে আসেন ভারতীয় অধিনায়ক। আম্পায়ার সৈকতের বাঁধায় সেই তর্ক বেশিদূর গড়ায়নি। ঠিক তার পরের বলেই খাজাকে আউট করে কনস্টাসের সামনেই উল্লাসে মাতে ভারতীয় দল, অনেকে তার দিকে তেড়েও গিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময় একেবারেই চুপ ছিলেন কনস্টাস, কিছু না বলেই বেরিয়ে গেছেন মাঠ থেকে।
১৯ বছর বয়সী কনস্টাস বলছেন, বুমরাহর সাথে ওই তর্ক তাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে, ‘আমার মনে হয়েছে আমি লড়াইটা উপভোগ করেছি। নিজের সর্বোচ্চটা উজাড় করে দিচ্ছিলাম। এটা আমার জন্য ভালো শিক্ষা। আমি আসলে সময় নস্ট করার চেষ্টা করেছি যেন তারা আরেকটা ওভার না করতে পারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয়টা বুমরাহরই হয়েছে। সে বিশ্বমানের বোলার, সিরিজে ৩২ উইকেট নিয়েছে। এরকম ঘটনা আবার ঘটলে হয়তো আমি কিছু বলব না।’
নিজের অভিষেক ইনিংসেই কোহলির সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিলেন কনস্টাস। আগ বাড়িয়ে তাকে ধাক্কা দেওয়ার ঘটনায় জরিমানাও গুণতে হয়েছে কোহলিকে। এই ঘটনায় চতুর্দিক থেকেই সমালোচনায় বিদ্ধ হয়েছে কোহলি।
কনস্টাস অবশ্য বলছেন, ম্যাচের পর কোহলির সাথে সবকিছু মিটমাট হয়ে গেছে তার, ‘ম্যাচের পর কোহলির সাথে কথা হয়েছে। তাকে যে আমি আদর্শ মানি, সেটাই বলেছিলাম। তার বিপক্ষে খেলা অনেক সম্মানের। কোহলি যখন ব্যাটিং করছিল তখন আমি বলছিলাম ‘ওয়াও কোহলি ব্যাটিং করছে!’। সব ভারতীয় দর্শক তার নামে স্লোগান দিচ্ছিল। এটা দারুণ এক অভিজ্ঞতা। সে অনেক বিনয়ী মানুষ। আমাকে শ্রীলংকা সফরের জন্য শুভকামনা জানিয়েছে। আমার পুরো পরিবার তাকে পছন্দ করে, সে একজন কিংবদন্তি।’