মৌসুমের সর্বনিম্ন ৭.৩ ডিগ্রি তাপমাত্রায় স্থবির পঞ্চগড়
১০ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:৪০ | আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:০১
পঞ্চগড়: শৈত্যপ্রবাহ ছিল আগে থেকেই। তাপমাত্রা আরও কমে ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। এটি চলতি মৌসুমে কেবল পঞ্চগড় নয়, সারা দেশেরই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। এ দিন সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তেঁতুলিয়ার আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ায় এ অঞ্চলে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। শুক্রবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সারা দেশের মধ্যে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।’
জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, আগের দিন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ থাকলেও এখন এই এলাকায় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সঙ্গে রয়েছে ঘন কুয়াশা। সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ।
কয়েকদিনের স্বস্তির পর বৃহস্পতিবার থেকেই পঞ্চগড়ে ফের শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। এতে আবার বেড়েছে ভোগান্তি। হিমেল হাওয়ার পাশাপাশি ঘন কুয়াশায় বিপাকে উদ্বাস্তু, গৃহহীন ও নিম্ন আয়ের মানুষ। তীব্র শীতে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। নিতান্ত প্রয়োজন না হলে দিনের বেশির ভাগ সময়ই কেউ ঘরবাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। এতে আরও বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শ্রমজীবীদের।
পঞ্চগড় শহরের অধিবাসীরা বলছেন, উত্তরের হিম শীতল বাতাস বইতে শুরু করে বিকেল গড়াতেই। সন্ধ্যা হতে না হতেই পথঘাট ফাঁকা হয়ে যায়। দিনে সূর্য থাকলেও রোদের তেজ থাকে না। কাঠ-খড়ি, খড়কূটো জ্বেলে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে হয়।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় শহরের দুয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কাঁচাবাজার এলাকা ছাড়া বাকি এলাকায় খুব একটা মানুষজনের উপস্থিতি নেই। কোথাও কোথাও উদ্বাস্তু ও গৃহহীনদের পথের পাশেই কাঠ-খড় সংগ্রহ করে আগুন জ্বালিয়ে উত্তাপ নিতে দেখা গেছে।
শুক্রবার আহবাওয়া অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পঞ্চগড় ছাড়াও দেশের আরও ৯ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। জেলাগুলো হলো- রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, দিনাজপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, গোপালগঞ্জ ও মৌলভীবাজার।
সারাবাংলা/এমপি