ড. ইউনূসের ৫ মামলা বাতিলের রায়ে আইনি দুর্বলতা পাননি আপিল বিভাগ
১১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:১৫ | আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:৫০
ঢাকা: ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নামে শ্রম আইনে দায়ের করা পাঁচ মামলার কার্যক্রম বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা পৃথক লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) খারিজ করে আপিল বিভাগের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ আদেশ সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে।
পূর্ণাঙ্গ আদেশে আদালত বলেন, হাইকোর্টের রায় ও আদেশে কোনো আইনি দুর্বলতা এবং আইনিভাবে হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা খুঁজে পাওয়া যায়নি। সে অনুসারে মেরিট (যোগ্যতা) বর্জিত হওয়ায় লিভ টু আপিলগুলো খারিজ করা হলো।
এর আগে, ৮ ডিসেম্বর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিলগুলো খারিজ করে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক এবং অধ্যাপক ইউনূসের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুস্তাফিজুর রহমান খান শুনানিতে ছিলেন।
তারও আগে মামলা বাতিল চেয়ে করা পৃথক আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট বিভিন্ন সময়ে রুলসহ আদেশ দেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত বছরের ২৪ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেন।
ফলে মামলাগুলোর কার্যক্রম বাতিল ঘোষিত হয়। হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের পৃথক পাঁচটি লিভ টু আপিল করে।
এরপর গত সপ্তাহে পূর্ণাঙ্গ আদেশ প্রকাশিত হয়।
মামলার সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা বলছেন, গ্রামীণ টেলিকমিউনিকেশনসের চেয়ারম্যান থাকাকালীন ড. ইউনূসের নামে যখন শ্রম আদালতে পৃথক পাঁচটি মামলা হয়। ২০১৯ সালে প্রস্তাবিত ট্রেড ইউনিয়ন ইস্যুতে কর্মীদের চাকরিচ্যুতির অভিযোগ তুলে মামলাগুলো করা হয়। এরপর মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে ২০২০ সালে হাইকোর্টে পৃথক আবেদন করেন ড. ইউনূস।
আইনজীবীরা বলেছেন, মামলা কার্যক্রম বাতিলের পক্ষে আবেদনকারীপক্ষের যুক্তি ছিল যে, প্রস্তাবিত ট্রেড ইউনিয়নের আবেদনপত্র ইতোমধ্যে শ্রম অধিদপ্তর থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। সুতরাং এ কথা বলার কোনো অবকাশ নেই যে প্রস্তাবিত ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার কারণে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়। তাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ ছিল, চুক্তির মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। এ ধরনের মামলার ক্ষেত্রে শ্রম অধিদফতরকে মামলা করতে হয়। তারা শ্রম অধিদফতরের কাছে অভিযোগ করলেও শ্রম অধিদফতর এ ধরনের কোনো মামলা করেনি।
সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ