সমাপনী কুচকাওয়াজে পাসিং আউট হলেন ৩৩৪ কনস্টেবল
১২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:০৪ | আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:১৪
রাজশাহী: রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ১৬৭তম ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুচকাওয়াজের মধ্যে দিয়ে ১৬৭তম ট্রেনিং রিক্রুট কনস্টেবলদের ৩৩৪ জনকে পাসিং আউট দেওয়া হয়।
রোববার (১২ জানুয়ারি) সকালে পুলিশ একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে এই মনোজ্ঞ প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান ভূঞা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যক্ষ কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন। পরে বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী টিআরসিদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। সমাপনী কুচকাওয়াজে ৩৩৪ জন টিআরসি অংশ নেন।
এদের মধ্যে সাজ্জাদুল ইসলাম (পিএ/৫৪৪) বেস্ট টিআরসি হিসেবে নির্বাচিত হন। এছাড়া বিষয়ভিত্তিক শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারীদের মধ্যে বেস্ট একাডেমিক হিসেবে সুমন আলী (পিএ/৫৪২), বেস্ট ইন ফিল্ড এক্টিভিটিজ এবং বেস্ট শ্যুটার হিসেবে পৌরব চন্দ্র রায় (পিএ/১৪৫) নির্বাচিত হন।
নবীন পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একাডেমির অধ্যক্ষ (অতিরিক্ত আইজিপি) মো. মাসুদুর রহমান ভূঞা বলেন, একটি স্বনির্ভর রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি হল দেশের স্থিতিশীলতা। বাংলাদেশ পুলিশের নির্ভীক সদস্যরা দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে রাউন্ড দ্য ক্লক কাজ করে যাচ্ছে। দেশ ও জাতির ক্রান্তিকালে বাংলাদেশ পুলিশ সর্বদা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। বহির্বিশ্বেও শান্তি রক্ষা মিশনে ভূমিকা রেখে চলেছে। কর্মপরিধি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দায়বদ্ধতা বেড়েছে বাংলাদেশ পুলিশের। এ জন্য বাংলাদেশ পুলিশকে তাদের সেবা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে কোর্স ডিরেক্টর পুলিশ সুপার তানভীর সালেহীন ইমনসহ অন্য ঊর্দ্ধতন পুলিশ কর্মকর্তা এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
গত বছরের ২৪ জুন ৩৪৪ জন ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবলের ছয়মাস মেয়াদী মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়। প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০ ডিসেম্বর। আর ১৯ ডিসেম্বর প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু ৯ ডিসেম্বর ‘অনিবার্য কারণবশত’ এই কুচকাওয়াজ স্থগিত করে দেওয়া হয়।
এরপর গত ৩ জানুয়ারি প্রশিক্ষণরত ৮ পুলিশ কনস্টেবলকে অব্যাহতি দিয়ে একাডেমি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর থেকে প্রশিক্ষণরত অন্য পুলিশ কনস্টেবলেরাও আতঙ্কে ছিলেন। অবশেষে রোববার প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ হওয়ায় তারা স্বস্তি পেয়েছেন।
একাডেমিতে মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষে পুলিশ সদস্যরা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে সংযুক্ত হন এবং মাঠপর্যায়ে কাজের সুযোগ পান। এরও এক বছর পর তাদের চাকরি স্থায়ী হয়। প্রশিক্ষণের মেয়াদ শেষেও প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাওয়ার এমন নজির পুলিশ একাডেমিতে এবারই প্রথম। প্রশিক্ষণ চলাকালেও একটি ব্যাচ থেকে ৩২১ জন এসআইকে অব্যাহতি দেওয়ার ঘটনাও নজিরবিহীন।
সারাবাংলা/ইআ