বান্দরবানে স্ত্রীকে হত্যার দায়ের স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
১৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:০১
বান্দরবান: বান্দরবানের দীর্ঘ চার বছর পর গর্ভবতী স্ত্রীকে হত্যার দায়ের স্বামী মো. হায়দার আলীকে (৩২) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। একইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাসহ অনাদায়ের আরও ২ মাসের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে আদালতে তোলা হলে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরুণ পাল এ আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি- মো. হায়দার আলী (৩২) রাঙামাটি রাইখালী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের খন্তাকাটা গ্রামে মৃত লতিফুর রহমানের ছেলে।
এজাহারে বলা হয়, হত্যার সাত বছর আগে রুপা আক্তারকে বিয়ে করেন হায়দার আলী (৩২)। বিয়ের পর শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে আসেন। পরে স্ত্রীকে নিয়ে চাচির বাড়িতে বেড়াতে যাবে বলে বের হয়ে যান। সন্ধ্যা পেরিয়ে এলেও বাড়িতে ফিরে না আসলে পরিবারের লোকজন খোঁজ শুরু করে।
গত ২০২১ সালে ৮ আগষ্ট দুপুরে গলাচিপা মুসলিম পাড়া এলাকায় মুখ ও হাত বাধা অবস্থায় সড়কের পাশে ঝোপের থেকে ওই নারীর মরদেহ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী পরিবার মরদেহটি চিহ্নিত করে সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পরে মেয়েকে হত্যার দায়ে থানায় মামলা করে পরিবার। এরই প্রেক্ষিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে হত্যা প্রমাণিত হওয়ায় ৩০২ ধারা আইন অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
নিহতের পিতা নুরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ ৪ বছর পর আমার মেয়ে হত্যার দায়ে দায়েরকৃত মামলায় আসামীকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। এতে আমি খুব খুশি হয়েছি।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আলমগীর চৌধুরী বলেন, ‘আসামীর বিরুদ্ধের সাক্ষ্যগ্রহণের পর সত্য প্রমাণিত হওয়ায় ও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি শেষে আসামীকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সারাবাংলা/এমপি