ইবি: গড়াই পরিবহণের হেলপার, ড্রাইভার ও শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন কর্তৃক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় গড়াই ও রূপসা বাস আটক করছেন শিক্ষার্থীরা। বাস আটকানোর কারণে দূরপাল্লার যাত্রীরা গন্তব্যস্থলে যেতে ভোগান্তিতে পড়েছেন।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকাল ৩ টার দিকে তারা বাস আটকানো শুরু করেন। বিকাল সোয়া ৫ টায় প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পাঁচটি বাস আটকে রেখেছে শিক্ষার্থীরা।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হলেন পরিসংখ্যান বিভাগের স্নাতক ২০১৯-২০ বিভাগের আসিফ মাহমুদ।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আসিফ জানান, বেলা আনুমানিক ১১টার দিকে তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে ঝিনাইদহ থেকে যশোরের উদ্দেশে গড়াই পরিবহণ ওঠেন। ড্রাইভার গাড়ি দ্রুত চালালে আসিফ তার প্রতিবাদ করে গাড়ির গতি কমাতে বলেন। এ ঘটনায় পরিবহণের ড্রাইভার ও হেলপারদের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে ড্রাইভার ও হেলপার মিলে তাকে মারধর করেন। পরে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ এলাকায় গেলে সেখানে আসিফকে নামিয়ে পুনরায় ড্রাইভার, হেলপার এবং কালীগঞ্জ শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন মিলে তাকে মারধর করেন।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বাসের লোকজন বরাবরই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাজে আচরণ করে। শিক্ষার্থীদের ভাড়া হাফ পাশ থাকলেও তারা ভাড়া কম নিতে চান না। উলটো আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
শাহিন আলম নামে এক যাত্রী বলেন, ‘আমি বউ বাচ্চা নিয়ে যশোরের উদ্দেশে যাচ্ছিলাম। ইবি ক্যাম্পাস গেটে এসে বাস থেকে নামিয়ে দিল। অন্য বাসে যাওয়ার জন্য দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে আছি। তবে শিক্ষার্থীদের দাবিটি যৌক্তিক। কেউ এভাবে চাইলেই কাউকে মারধর করতে পারে না।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান বলেন, ‘এ বিষয়ে মালিক শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে। আশা করছি দ্রুত একটা সমাধান হবে।’