‘অন্যান্য রোগেও ভুগছিলেন এইচএমপিভি আক্রান্ত সানজিদা’
১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:০২ | আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৪০
ঢাকা: হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসে-এইচএমপিভি আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া নারী সানজিদা আক্তার অন্যান্য জটিল রোগেও আক্রান্ত ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সংবাদ ব্রিফিং এ তথ্য জানান তিনি। এর আগে বুধবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান ওই নারী। বিষয়টি নিয়ে দুপুরে জরুরী ব্রিফিং ডাকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সংবাদ ব্রিফিং এ আরো জানানো হয়, এইচএমপিভি ভাইরাসে সাধারনত কেউ মারা যায়না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, ওই নারী এইচএমপিভি ভাইরাসেই মারা গেছে সেটি সরাসরি বলা যাবেনা। তিনি আরো বলেন, গত বুধবার (১৫ জানুয়ারি) মারা যাওয়া ওই নারী অসুস্থ হয়েছিলেন এক মাস আগে। তিনি এইচএমপিভি ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন। পাশাপাশি অন্যান্য জটিল রোগেও আক্রান্ত ছিলেন।
ব্রিফিং-এ তিনি আরো বলেন, ভাইরাসটি নিয়ে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। তবে সতর্ক থাকতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বার বার হাত ধোয়ার পাশাপাশি মাস্ক পরলে সংক্রমন কম হবে।
উল্লেখ্য, গবেষকদের মতে, এইচএমপিভি নতুন কোনও ভাইরাস নয়। দেশে সর্বপ্রথম ২০০১ সালে এর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এরপরও একাধিকবার পরীক্ষা করে আরও রোগী পাওয়া গেছে। তবে তাদের মৃত্যুর কোনও খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আরিফুল বাশার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় মারা গেছেন ওই নারী। তবে এইচএমপিভি ভাইরাসের কারণে তার মৃত্যু হয়নি। তার কিডনির সমস্যা ছিলো। তবে ওই নারীর মৃত্যুর বিষয়ে তথ্য অনুসন্ধান করা হচ্ছে বলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার কর্মকর্তারা।
এর আগে রোববার (১২ জানুয়ারি) বাংলাদেশে প্রথম এইচএমপি ভাইরাস শনাক্তের কথা জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডিরেক্টর ডা. হালিমুর রহমান। এরই মধ্যে এই ভাইরাস চীন,জাপান এবং ভারতেও ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।
সারাবাংলা/জেআর/এনজে