জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন বাতিল
১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:২৪ | আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৩৮
ঢাকা: অবশেষে বাতিল করা হয়েছে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, এনআইডি কার্যক্রম ইসির কাছ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে ন্যস্ত করতে গত আওয়ামী লীগ সরকার ২০২৩ সালে একটি আইন করে।
‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২৩’ শীর্ষক ওই আইনে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে কার্যক্রম সুরক্ষা সেবা বিভাগে না নেওয়া পর্যন্ত ইসির অধীনেই পরিচালনার কথা বলা হয়। সেই মোতাবেক এখনো এনআইডি ইসির অধীনেই আছে।
জানা গেছে, বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২৩’ বাতিল করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে চিঠি পাঠান নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমদ।
ইসি চিঠিতে জানায়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৯ (১) অনুসারে রাষ্ট্রপতি পদের ও সংসদের নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা প্রস্তুতকরণের তত্ত্বাবধান, নির্দেশ ও নিয়ন্ত্রণ এবং অনুরূপ নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের উপর ন্যস্ত। পাশাপাশি, ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯ এর ধারা ১১ ও ভোটার তালিকা বিধিমালা, ২০১২ এর বিধি ৩(গ) এবং এতদসংক্রান্ত বিষয়ে উচ্চ আদালতের আদেশ অনুসারে ভোটার তালিকা প্রণয়নের ক্ষেত্রে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ধারাবাহিকভাবে প্রাথমিক স্তর থেকে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে ভোটার তালিকা প্রস্তুত, হালনাগাদসহ প্রাসঙ্গিক কার্যাদি নির্বাচন কমিশনের উপর ন্যস্ত। বর্ণিত কার্যক্রম থেকে ফলাফল হিসেবে যে দুটি বিষয় পাওয়া যায় তা হচ্ছে; ক) ভোটার তালিকা, এবং খ) জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)।
মন্ত্রিপরিষদে পাঠানো চিঠিতে আরও জানানো হয়, বিগত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩ জারি করা হলেও আইনের ধারা ১(২) অনুযায়ী গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারির মাধ্যমে আইনটি কার্যকর করার শর্ত থাকলেও অদ্যাবধি তা করা হয়নি বিধায় ধারা ৩০(৩)- এর উপধারা ১(খ) অনুযায়ী জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম নির্বাচন কমিশন হতে পরিচালিত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩’ বাতিল করে এনআইডি কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের কাছে বহাল রাখার কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যে রাষ্ট্রপতির কার্যালয় বরাবর নির্বাচন কমিশন থেকে অনুরোধ জানানো হয়।
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারাসহ সুশীল সমাজ এবং দেশের সাধারণ মানুষ এই কার্যক্রমটি ইসির অধীনে রাখার দাবি জানিয়ে আসছে শুরু থেকেই। তারা ২০২৩ সালের নতুন আইনটি বাতিল করার দাবি জানান। এর পর আজ আইনটি বাতিল হলো।
সারাবাংলা/এনএল/পিটিএম