মেট্রোরেলের বগিতে বেড়েছে মশার উপদ্রব
১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:৫৫ | আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:০১
ঢাকা: মেট্রোরেলে প্রতিটি বগিতে মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে। উত্তরা মেট্রোরেল ডিপো থেকে মশাগুলো রেলের প্রতিটি বগিতে ঢুকে পড়ে বলে জানিয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। তবে মশা নিধনে নেই সরঞ্জাম।
মেট্রোরেলের যাত্রী মোশারফ হোসেন (ব্যবসায়ী) বলেন, ‘প্রতিদিনই মেট্রোরেলে উত্তরা একবার যেতে হয়। আগে রেলের বগিতে মশা ছিল না, এখন মশা দেখছি।’
মিরপুরে একটি ক্লিনিকে কর্মরত সিমা হালদার নামে একজন সেবিকা বলেন, ‘গত দুই দিন ধরে মশার কামড় খেয়েছি। ভয় হচ্ছে ডেঙ্গু জ্বরে পড়তে হয় কিনা। আগে মশা ছিল না। এখন কোথা থেকে মশা বগিতে ঢুকছে বুঝে উঠতে পারছি না।’
মেট্রোরেলের কন্ট্রোল রুমের একজন কর্মকর্তা তার নাম গোপন রাখার শর্তে টেলিফোনে জানান, গণমাধ্যমের সঙ্গে আমাদের কথা বলার অধিকার নেই। যাত্রীদের কাছ থেকে মশা উপদ্রবের অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শাহাবাগ, মিরপুর ১১, পল্লবী ও মিরপুর ১০ নম্বরে মেট্রোরেলের যাত্রীরা সিড়ি দিয়ে ওপরে উঠতে গেলে বাধাগ্রস্থ হয়। কারণ কিছু যুবক সিড়িতে বসে মোবাইল ফোনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চালায়। কিছু বখাটে ধুমপান করে। এ বিষয়গুলো পুলিশ ও প্রশাসনের দেখার কথা। তারা এ ক্ষেত্রে অনুপস্থিত।’
অপর এক কর্মকর্তা জানান, মশা নিধনের জন্য মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের কাছে ছোট ফগার মেশিন নেই, মশা মারার ওষুধও নেই। রেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নির্দেশ দিলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ফগার মেশিন ও ওষুধ ক্রয় করবে।’
মেট্রোরেলের মানবসম্পদ ও প্রশাসন কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মশা নিধনের জন্য মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদক্ষেপ নিলেই আমরা ফগার মেশিন ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করা করবো।’
তিনি বলেন, ‘উত্তরা ডিপোর আশেপাশে ডোবা, জঙ্গল ও জলাবদ্ধতা রয়েছে। ওখানে মশার উপদ্রবে দাঁড়ানো যায় না। সেখান থেকেই এই মশাগুলো রেল বগিতে প্রবেশ করে। যদিও উত্তরা মশা নিধনের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের।’
এ প্রসঙ্গে মেট্ররেলের এমডি আব্দুর রউফ বলেন, ‘মেট্ররেলের বগিতে মশার উপদ্রবে যাত্রীরা যে অতিষ্ট সে বিষয়টি অবহিত হয়েছি। দ্রুত মশা নিধনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এইচআই