বকেয়া বেতন ও চাকরি স্থায়ীকরণ চায় রেলওয়ে গেটকিপাররা
১৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:৩১ | আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:০১
ঢাকা: বকেয়া বেতনের পাশাপাশি চাকরি স্থায়ীকরণ চায় রেলওয়ে প্রকল্পের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া গেটকিপাররা।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে রেল ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন প্রকল্পের গেটকিপাররা। কর্মসূচি থেকে তারা নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব মইনুল ইসলামের পদত্যাগ দাবি করেন।
গত ৭ থেকে ৮ মাস ধরে বিনা বেতনে কাজ করছেন জানিয়ে তারা বলেছেন, এ বিষয়ে অনেকবার রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে জানানোর পরেও তারা কোনো সাড়া পাননি, যে কারণে এই অবস্থান কর্মসূচী পালন করছেন।
গেটকিপার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘২০১৮ সালে আমাদের নিয়োগ দেওয়া হয়। আমরা বর্তমানে পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলে দায়িত্ব পালন করছি। এতদিন পেরিয়ে গেলেও আমাদের চাকরি স্থায়ী করা হয়নি। গত ৭-৮ মাস ধরে আমাদের বেতন বন্ধ রয়েছে। গত ৮ মাস জানিয়েছে আমাদের বেতন চলমান থাকবে। কিন্তু আমাদের বেতন চলমান হয়নি।’
পশ্চিমাঞ্চলে কর্মরত গেট কিপার মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে তাই আমরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছি। আমাদের রাজস্বতে নেওয়ার জন্য বারবার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। আমাদের সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে ১ হাজার ৫০৫ জনের রাজস্ব চাই। আমরা বারবার তাদের কাছে এসেছি কিন্তু তারা আমাদের কথা শুনছেন না। নিয়োগ পাওয়ার পর আমরা কর্মস্থলে যাওয়ার পর দেখি সেখানে নাজুক অবস্থা। সেখানে পানি, বিদ্যুৎ, টয়লেটের ব্যবস্থা নেই। সেখানে ডিউটি করা কঠিন।’
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের লেভেল ক্রসিং ও গেটগুলোর পূর্নবাসন মান উন্নয়ন নামক প্রকল্পটি অনুমোদন পায় ২০১৫ সালের ১ জুলাই। এই প্রকল্পের আওতায় ২০১৬ এবং ২০১৮ সালে দুই মেয়াদে মোট ৮৫১ জন গেটকিপার নিয়োগ দেওয়া হয়। এরমধ্যে নিরবচ্ছিন্নভাবে চাকরি করছেন ৭৫৩ জন। তারা গত ৮ মাস ধরে বেতন পান না। ফলে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এবার বকেয়া বেতনের দাবি নিয়ে রেলভবনের সামনে হাজির হয়েছেন।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘এ সকল গেটকিপার একটি প্রকল্পে নিয়োগ পেয়েছিল। ওই প্রকল্পের টাকা শেষ। যে কারণে বেতন বকেয়া পড়েছে। অর্থ চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে সূত্র। এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি।
সারাবাংলা/জেআর/এমপি