‘আ.লীগ জিয়াকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল, মানুষ তাদের নেতাকে মুছে ফেলেছে’
১৯ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৫০
ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানের নাম বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল। নির্মম ইতিহাস হলো- তাদের নেতার (শেখ মুজিব) ছবি, মূর্তি যেখানে ছিল বাংলাদেশের মানুষ তা মুছে ফেলেছে। আর শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম সবার সামনে ভেসে আসছে। কারণ, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের মানুষের অন্তরে চলে গেছে।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ আলোচনা সভা আয়োজন করে বিএনপি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা সবসময় বলি জিয়ার সৈনিক; জিয়াউর রহমানের সৈনিক তখনই হতে পারব যখন আমরা তাকে অনুসরণ করতে পারব। তার যে কর্ম জীবন, তার যে রাজনৈতিক চিন্তা, সেটা যখন আমরা বাস্তবায়িত করতে পারব তখন সেটাই হবে তার সৈনিক হওয়ার উপযুক্ত কাজ। তার সবচেয়ে বড় গুণ ছিল সততা, নিয়মানুবর্তিতা এবং কাজের প্রতি আন্তরিকতা আর দূরদৃষ্টি। সবগুলো মিলিয়ে আমাদের চিন্তা করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘শহিদ জিয়া সকলের কথা বলার অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। এই মিডিয়া তখন ছিল না। আওয়ামী লীগ বাকশাল সমস্ত পত্রপত্রিকা বন্ধ করে দিয়ে মাত্র চারটি পত্রিকা খোলা রেখেছিল। তিনি (জিয়াউর রহমান) এসে সমস্ত পত্রপত্রিকা খুলে দিয়েছিলেন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একটি কথাই বলতে চাই, জিয়াউর রহমানকে অনুসরণ করলে আমরা সঠিক পথে এগিয়ে যেতে পারব। তিনি যখন রাজনৈতিক দায়িত্বে ছিলেন, চিন্তা করেছেন- বাংলাদেশকে পরিবর্তন করতে হলে জনগণের পার্টিসিপেন্ট খুবই প্রয়োজন।’
‘আমাদের দায়িত্ব হবে জিয়াউর রহমানের যে সততা, সেই সততাকে যেন আমরা রক্ষা করি। সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বপ্নগুলোকে বাস্তবায়ন করার জন্য সবাই সামনের দিকে এগিয়ে যাই’— বলেন মির্জা ফখরুল।
নেতা কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘মানুষের কাছে যেতে হবে। পাড়ায় পাড়ায় যেন সংগঠনকে শক্তিশালী করতে পারি। আমরা যেন আমাদের রাজনীতি দিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পারি।’
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান এমন একজন নেতা যিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনেছেন এবং সম্মুখ যুদ্ধে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একজন সৈনিকের ভূমিকা অবতীর্ণ হয়েছেন। যিনি একজন স্টেইটম্যান, সেনাপতি, রাজনীতিবিদ। সেই মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশকে একটি জাতিসত্তা দিয়েছেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদের মাধ্যমে। এত কিছুর সমাহার অন্য কোনো নেতার মধ্যে দেখতে পাই না। আমার শুধু একজন বিশ্ব নেতার কথা মনে পড়ে তিনি হচ্ছেন জর্জ ওয়াশিংটন। আমেরিকার মুক্তি যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি একজন বড় সংস্কারক।’
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান আহমদ আজম খান প্রমুখ।
সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম