শরণার্থীদের ঢল সামলাতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা তিজুয়ানায়
২১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:৩৬ | আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:৩৮
মেক্সিকোর সীমান্ত শহর তিজুয়ানা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গণ-নির্বাসনের প্রতিশ্রুতির পর সম্ভাব্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগোর ঠিক সীমান্তের ওপারে অবস্থিত এই শহরের শরণার্থী আশ্রয়কেন্দ্রগুলো সম্ভাব্য শরণার্থীদের ঢল সামলানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বাজা ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের এই শহরে ৩০টিরও বেশি আশ্রয়কেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে। তবে এই কেন্দ্রগুলো স্থান সংকট, সম্পদের অভাব এবং অনিশ্চয়তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবিক কর্মীরা। একই স্থানে একসঙ্গে এতো অভিবাসীদের অবস্থান তিজুয়ানায় মানবিক সংকট সৃষ্টি করবে বলে ধারণা মানবিক কর্মীদের।
জার্ডিন দে লাস মারিপোসাস আশ্রয়কেন্দ্রের পরিচালক সি জেমি মারিন সিএনএন-কে বলেছেন, ট্রাম্পের পরিকল্পিত গণ-নির্বাসন একটি মানবিক সংকটের জন্ম দিতে পারে। এটি যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনপ্রত্যাশী এবং ইতোমধ্যে দেশে ফেরত পাঠানো ব্যক্তিদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) শপথ গ্রহণের ভাষণে ট্রাম্প তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা কোটি কোটি অপরাধী অভিবাসীদের তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করব।’
সম্ভাব্য শরণার্থীদের ঢল মোকাবিলায় তিজুয়ানা কর্তৃপক্ষ গত সপ্তাহে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। শহরের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই প্রশাসনিক পদক্ষেপটি শহরকে তহবিল সংগ্রহ, আইনি সেবা প্রদান, কর্মী নিয়োগ এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও সরবরাহের জন্য সহায়তা দেবে।
তবে তিজুয়ানার মেয়র ইসমায়েল বুরগেনো রুইজ এটিকে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প তার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করলে আমরা প্রস্তুত থাকব।’
মেক্সিকোর কেন্দ্রীয় সরকারও সীমান্ত শহরগুলোতে নতুন আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি ও অভিবাসন কাফেলাগুলোকে সহায়তা করার ঘোষণা দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাম জানিয়েছেন, অনেক অভিবাসী ইতোমধ্যে নিজ নিজ দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
সারাবাংলা/এনজে