Tuesday 21 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এখনই নির্বাচন করে ফেলতে হবে, আমরা তা বলছি না: ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:১০ | আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:০৯

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এখনই নির্বাচন করে ফেলতে হবে, আমরা তা বলছি না। ন্যূনতম যে সংস্কারটা সেটা করে নির্বাচনটা করলে সমস্যাগুলোর অনেকটা সমাধান হবে।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের উদ্যোগে আয়োজিত ‘গ্রন্থ আড্ডা’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী এবং জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের ১২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আড্ডার আয়োজন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘আমাকে অনেকে ভুল বোঝে যে, আপনি এতো নির্বাচন নির্বাচন করেন কেন? হ্যাঁ, আমাকে বিশেষ করে ছাত্ররা তো বলেই। এখানে নির্বাচন বলার কারণ হচ্ছে একটাই, আমরা বিশ্বাস করি, যেকোনো নির্বাচিত সরকার কিন্তু অনির্বাচিত সরকারের চেয়ে ভালো। আমার এক্সেস থাকে, আমি যেতে পারি, কথা বলতে পারি। এখন আমার সে জায়গাটা নেই।’’

তিনি বলেন, ‘‘সংস্কারের প্রস্তাব আসতে শুরু করেছে। আমার বিশ্বাস যে, প্রধান উপদেষ্টা খুব শিগগিরই এই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদেরকে ডাকবেন, একটা সমাধানের দিকে আসবেন, আলোচনা হবে, ঐক্যমত্যের ভিত্তিকে আমরা একটা জায়গায় পৌঁছাব।”

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘নির্বাচনের কথা এজন্য তাড়াতাড়ি বলি যে, নির্বাচনটা হলে দেশের সমস্যাগুলো চলে যাবে। একটা নির্বাচিত সরকার পিপলস ম্যান্ডেট নিয়ে বসবে। এরা (অন্তবর্তী সরকার) তো এখন বসতে পারেনি। ওদের মধ্যে সেই কনফিডেন্স নাই। পিপলের ভাষাটা তো বুঝতে হবে। সেটা নির্বাচিত সরকার সবচেয়ে ভালো বোঝে- বলে আমরা বিশ্বাস করি।”

তিনি বলেন, ‘‘অনেক ত্রুটি তারা (অন্তবর্তী সরকার) তুলে নিয়ে এসেছে। আমার ধারণা ছিল না যে, এতো খারাপ হয়ে গেছে। এই পরিবর্তনের পরে আমরা যখন দুয়েকটা জায়গায় খোঁজ-খবর নিই, অফিস-আদালতে খোঁজ-খবর নিই, একটা ভয়াবহ কাণ্ড, দুর্নীতি-চুরি ব্যক্তিগত স্বার্থ ছাড়া আর কোনো চিন্তা নাই সরকারি আমলাদের মধ্যে। বলতে আমি বাধ্য হলাম দুঃখিত।”

বিজ্ঞাপন

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘এই অবস্থার পরিবর্তন তো একদিনে হবে না, দ্রুত হবে না। ধৈর্য ধরেন, গণতান্ত্রিক একটা স্ট্র্যাকচার খাড়া হোক, সেটা খাড়া হলেই নিশ্চয়ই আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারব। কখনো ধৈর্য হারাবেন না, কখনো আশা হারাবেন না।  কেন জানি না,  আমাদের প্রত্যাশা অনেক, কিন্তু ধৈর্য একেবারেই কম। এই তো কয়েক মাস হয়েছে এর মধ্যে সব পাগল হয়ে গেছে। দেখেন আমাদের এই সরকার অনেক ভুল-ত্রুটি করছে। ভুল তো করবেই, কারণ তারা সরকারের ছিল, রাজনীতি করেনি। তারা তো রাজনীতি জানে না, বোঝে না। তাই তাদেরকে তো সেই সময় দিতে হবে।”

তিনি বলেন, ‘‘প্রতিদিন এখন বের হচ্ছে দাবি দাওয়া নিয়ে মিছিল। এতোদিন কোথায় ছিলে বাবা?  তখন তো একটা কথা বলার কেউ সাহস পাওনি, সুযোগও পাও নাই। আর এখন যেহেতু একটা অবস্থা তৈরি হয়েছে, সবাই নেমে গেছ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আজকে স্ট্রাইক হচ্ছে, রাস্তা-ঘাট বন্ধ এতে লাভটা কার? এতে এ দেশের এ সমাজের কোনো লাভ হবে না।”

জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি আবদুস সালামের সভাপতিত্বে সাবেক ছাত্র নেতা আবদুস সাত্তার পাটোয়ারির সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, পলিসি গবেষক মাহাদী আমিন, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, শিক্ষানুরাগী আফরোজা খানম রীতা, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী, শিক্ষক নেতা জাকির হোসেন, সোশ্যাল এক্টিভিস্ট সাইয়িদ আবদুল্লাহ, জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের জহির দিপ্তী, মঞ্জুর এলাহী, কাজী জহিরুল ইসলাম বুলবুল, হাসান আল আরিফ প্রমুখ।

সারাবাংলা/এজেড/ইআ

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিজ্ঞাপন

সেই হাথুরুসিংহকে দুষলেন আফিফ
২১ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:১৬

আরো

সম্পর্কিত খবর